ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ চলতি মাসের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক সাভারে বিশেষ অভিযান শীর্ষ সন্ত্রাসী টুটুল গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নীতিই ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে পারবে না: গভর্নর গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯২ ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন নির্বাচনের বিলম্বে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে: মির্জা ফখরুল দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল

সরকারের মবকে আশকারা দেওয়ায় র মুখে: মাসুদ কামালআইনের শাসন প্রশ্নে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, সরকার মব (জনতা দ্বারা চালিত সহিংসতা) বন্ধের চেষ্টা না করে বরং তাদের আশকারা দিচ্ছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি বলেন, ৮ আগস্ট দেশে সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। অথচ ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে গেলে তিন দিন ধরে দেশে কোনো সরকার ছিল না, তবুও দেশ চলেছিল। তাহলে নতুন করে সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়েছিল কেন? তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিল যেন একটি কর্তৃত্ব থাকে, যা ঠিক-ভুলের নির্দেশনা দেবে। কিন্তু সেই কর্তৃত্বও কার্যকর হচ্ছে না।

মাসুদ কামালের অভিযোগ, সরকার এমন কিছু করছে না যা আইনের শাসন কায়েম করে, বরং যা করছে তা মবের পক্ষেই যাচ্ছে। তাদের কার্যত আশকারা দেওয়া হচ্ছে, যার ফলেই মব সন্ত্রাসের ঘটনা বাড়ছে।

পটিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে একজন যুবককে মারধর করে থানায় আনা হয়, দাবি করা হয় সে ছাত্রলীগের কর্মী এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু থানার ওসি জানিয়ে দেন, তার নামে কোনো মামলা নেই, এমনকি সে পটিয়ার স্থায়ী বাসিন্দাও নয়। তখন প্রশ্ন আসে, মামলা না থাকলে কেন গ্রেপ্তার করা হবে?

তিনি বলেন, বর্তমানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু যাকে ধরা হয়েছে, সে কি ওই সময় ছাত্রলীগের কোনো মিছিল বা কর্মসূচিতে ছিল? না, সে শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান করছিল। সেখান থেকে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, পরে থানায় ভাঙচুর হয়, পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়, যা জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে যে, ওসির পদক্ষেপ ছিল অনুচিত। ফলে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে যে, সঠিক কাজ করলেও শাস্তি পেতে হবে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা যেত, কিন্তু সেটিও করা হয়নি। এ নিয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব অয়ন ফেসবুকে পোস্ট করে পটিয়ার ওসিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেছেন।

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, পটিয়া থানাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত। মাসুদ কামাল প্রশ্ন তোলেন, এ ধরনের প্রকাশ্য বক্তব্য কি ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে না? অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যদি আইন মানা ও আইনের শাসন কার্যকর না করে, তাহলে দেশে মবের দাপটই বাড়বে, যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারের মবকে আশকারা দেওয়ায় র মুখে: মাসুদ কামালআইনের শাসন প্রশ্নে

আপডেট সময় ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, সরকার মব (জনতা দ্বারা চালিত সহিংসতা) বন্ধের চেষ্টা না করে বরং তাদের আশকারা দিচ্ছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি বলেন, ৮ আগস্ট দেশে সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। অথচ ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে গেলে তিন দিন ধরে দেশে কোনো সরকার ছিল না, তবুও দেশ চলেছিল। তাহলে নতুন করে সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়েছিল কেন? তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিল যেন একটি কর্তৃত্ব থাকে, যা ঠিক-ভুলের নির্দেশনা দেবে। কিন্তু সেই কর্তৃত্বও কার্যকর হচ্ছে না।

মাসুদ কামালের অভিযোগ, সরকার এমন কিছু করছে না যা আইনের শাসন কায়েম করে, বরং যা করছে তা মবের পক্ষেই যাচ্ছে। তাদের কার্যত আশকারা দেওয়া হচ্ছে, যার ফলেই মব সন্ত্রাসের ঘটনা বাড়ছে।

পটিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে একজন যুবককে মারধর করে থানায় আনা হয়, দাবি করা হয় সে ছাত্রলীগের কর্মী এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু থানার ওসি জানিয়ে দেন, তার নামে কোনো মামলা নেই, এমনকি সে পটিয়ার স্থায়ী বাসিন্দাও নয়। তখন প্রশ্ন আসে, মামলা না থাকলে কেন গ্রেপ্তার করা হবে?

তিনি বলেন, বর্তমানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু যাকে ধরা হয়েছে, সে কি ওই সময় ছাত্রলীগের কোনো মিছিল বা কর্মসূচিতে ছিল? না, সে শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান করছিল। সেখান থেকে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, পরে থানায় ভাঙচুর হয়, পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়, যা জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে যে, ওসির পদক্ষেপ ছিল অনুচিত। ফলে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে যে, সঠিক কাজ করলেও শাস্তি পেতে হবে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা যেত, কিন্তু সেটিও করা হয়নি। এ নিয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব অয়ন ফেসবুকে পোস্ট করে পটিয়ার ওসিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেছেন।

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, পটিয়া থানাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত। মাসুদ কামাল প্রশ্ন তোলেন, এ ধরনের প্রকাশ্য বক্তব্য কি ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে না? অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যদি আইন মানা ও আইনের শাসন কার্যকর না করে, তাহলে দেশে মবের দাপটই বাড়বে, যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।