০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

সরকারের মবকে আশকারা দেওয়ায় র মুখে: মাসুদ কামালআইনের শাসন প্রশ্নে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, সরকার মব (জনতা দ্বারা চালিত সহিংসতা) বন্ধের চেষ্টা না করে বরং তাদের আশকারা দিচ্ছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি বলেন, ৮ আগস্ট দেশে সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। অথচ ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে গেলে তিন দিন ধরে দেশে কোনো সরকার ছিল না, তবুও দেশ চলেছিল। তাহলে নতুন করে সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়েছিল কেন? তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিল যেন একটি কর্তৃত্ব থাকে, যা ঠিক-ভুলের নির্দেশনা দেবে। কিন্তু সেই কর্তৃত্বও কার্যকর হচ্ছে না।

মাসুদ কামালের অভিযোগ, সরকার এমন কিছু করছে না যা আইনের শাসন কায়েম করে, বরং যা করছে তা মবের পক্ষেই যাচ্ছে। তাদের কার্যত আশকারা দেওয়া হচ্ছে, যার ফলেই মব সন্ত্রাসের ঘটনা বাড়ছে।

পটিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে একজন যুবককে মারধর করে থানায় আনা হয়, দাবি করা হয় সে ছাত্রলীগের কর্মী এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু থানার ওসি জানিয়ে দেন, তার নামে কোনো মামলা নেই, এমনকি সে পটিয়ার স্থায়ী বাসিন্দাও নয়। তখন প্রশ্ন আসে, মামলা না থাকলে কেন গ্রেপ্তার করা হবে?

তিনি বলেন, বর্তমানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু যাকে ধরা হয়েছে, সে কি ওই সময় ছাত্রলীগের কোনো মিছিল বা কর্মসূচিতে ছিল? না, সে শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান করছিল। সেখান থেকে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, পরে থানায় ভাঙচুর হয়, পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়, যা জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে যে, ওসির পদক্ষেপ ছিল অনুচিত। ফলে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে যে, সঠিক কাজ করলেও শাস্তি পেতে হবে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা যেত, কিন্তু সেটিও করা হয়নি। এ নিয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব অয়ন ফেসবুকে পোস্ট করে পটিয়ার ওসিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেছেন।

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, পটিয়া থানাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত। মাসুদ কামাল প্রশ্ন তোলেন, এ ধরনের প্রকাশ্য বক্তব্য কি ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে না? অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যদি আইন মানা ও আইনের শাসন কার্যকর না করে, তাহলে দেশে মবের দাপটই বাড়বে, যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারের মবকে আশকারা দেওয়ায় র মুখে: মাসুদ কামালআইনের শাসন প্রশ্নে

আপডেট সময় ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, সরকার মব (জনতা দ্বারা চালিত সহিংসতা) বন্ধের চেষ্টা না করে বরং তাদের আশকারা দিচ্ছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি বলেন, ৮ আগস্ট দেশে সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। অথচ ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে গেলে তিন দিন ধরে দেশে কোনো সরকার ছিল না, তবুও দেশ চলেছিল। তাহলে নতুন করে সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়েছিল কেন? তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিল যেন একটি কর্তৃত্ব থাকে, যা ঠিক-ভুলের নির্দেশনা দেবে। কিন্তু সেই কর্তৃত্বও কার্যকর হচ্ছে না।

মাসুদ কামালের অভিযোগ, সরকার এমন কিছু করছে না যা আইনের শাসন কায়েম করে, বরং যা করছে তা মবের পক্ষেই যাচ্ছে। তাদের কার্যত আশকারা দেওয়া হচ্ছে, যার ফলেই মব সন্ত্রাসের ঘটনা বাড়ছে।

পটিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে একজন যুবককে মারধর করে থানায় আনা হয়, দাবি করা হয় সে ছাত্রলীগের কর্মী এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু থানার ওসি জানিয়ে দেন, তার নামে কোনো মামলা নেই, এমনকি সে পটিয়ার স্থায়ী বাসিন্দাও নয়। তখন প্রশ্ন আসে, মামলা না থাকলে কেন গ্রেপ্তার করা হবে?

তিনি বলেন, বর্তমানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু যাকে ধরা হয়েছে, সে কি ওই সময় ছাত্রলীগের কোনো মিছিল বা কর্মসূচিতে ছিল? না, সে শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান করছিল। সেখান থেকে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, পরে থানায় ভাঙচুর হয়, পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়, যা জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে যে, ওসির পদক্ষেপ ছিল অনুচিত। ফলে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে যে, সঠিক কাজ করলেও শাস্তি পেতে হবে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা যেত, কিন্তু সেটিও করা হয়নি। এ নিয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব অয়ন ফেসবুকে পোস্ট করে পটিয়ার ওসিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেছেন।

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, পটিয়া থানাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত। মাসুদ কামাল প্রশ্ন তোলেন, এ ধরনের প্রকাশ্য বক্তব্য কি ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে না? অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যদি আইন মানা ও আইনের শাসন কার্যকর না করে, তাহলে দেশে মবের দাপটই বাড়বে, যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।