ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দুই দিনে ৩,৬২২ মামলা চাঁদপুরে সেরা সাঁতারু বাছাইয়ে ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠিত, অংশগ্রহণ ২ শতাধিক সাঁতারু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা হাতিরঝিলে ‘এগিয়ে বাংলাদেশ’ দৌড় প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণে ৮০০ প্রতিযোগী ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতা, ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ জামালপুরে নগর মাতৃসদনে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যু, আটক ২ নার্স দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬ আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান

বাগেরহাটে মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, কোটি টাকার কাঁচামাল লুট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া মহাসড়কের পাশে হ্যামকো গ্রুপের আওতাধীন এনজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মুখোশধারী ১৫–২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কারখানায় হানা দেয়।

প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ডাকাতরা প্রথমে ৭ জন নিরাপত্তা প্রহরী ও ৪ জন শ্রমিককে বেঁধে ফেলে। এরপর গুদামে সংরক্ষিত কাঁচামালের মধ্যে প্রায় ১৫ টন অ্যালুমিনিয়াম বার, ২.৫ টন তামার তার এবং ১ টন বৈদ্যুতিক তার দুটি ট্রাকে তুলে নেয় তারা। পুরো ডাকাতির ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

হ্যামকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ডাকাতদল রাত ৮টার দিকে কারখানায় ঢুকে প্রায় ৮ ঘণ্টা অবস্থান করে। তারা ভোর ৪টার দিকে সব মালামাল নিয়ে চলে যায়।”

ডাকাতির খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রবিউল ইসলাম শামীম।

ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর জানান, “ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের বেঁধে রেখে মালামাল লুট করেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”

এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিল্প এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতির ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ডাকাতির ঘটনায় হ্যামকো গ্রুপের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাগেরহাটে মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, কোটি টাকার কাঁচামাল লুট

আপডেট সময় ০৪:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া মহাসড়কের পাশে হ্যামকো গ্রুপের আওতাধীন এনজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মুখোশধারী ১৫–২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কারখানায় হানা দেয়।

প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ডাকাতরা প্রথমে ৭ জন নিরাপত্তা প্রহরী ও ৪ জন শ্রমিককে বেঁধে ফেলে। এরপর গুদামে সংরক্ষিত কাঁচামালের মধ্যে প্রায় ১৫ টন অ্যালুমিনিয়াম বার, ২.৫ টন তামার তার এবং ১ টন বৈদ্যুতিক তার দুটি ট্রাকে তুলে নেয় তারা। পুরো ডাকাতির ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

হ্যামকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ডাকাতদল রাত ৮টার দিকে কারখানায় ঢুকে প্রায় ৮ ঘণ্টা অবস্থান করে। তারা ভোর ৪টার দিকে সব মালামাল নিয়ে চলে যায়।”

ডাকাতির খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রবিউল ইসলাম শামীম।

ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর জানান, “ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের বেঁধে রেখে মালামাল লুট করেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”

এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিল্প এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতির ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ডাকাতির ঘটনায় হ্যামকো গ্রুপের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তারা।