০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 62

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্প্রতি ফোনালাপে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, ফোনালাপে উভয় পক্ষই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গত সোমবার (৩০ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সংস্কার কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা উঠে আসে এবং আলোচনার একপর্যায়ে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টিও উঠে আসে।’

কোন পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলোচনাটি ছিল খুব আন্তরিক। উভয় পক্ষই নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, নির্বাচনের আয়োজন দ্রুত করারই পরিকল্পনা রয়েছে।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিষয়ে চলমান আলোচনার প্রসঙ্গও উঠে আসে। মো. তৌহিদ হোসেন জানান, ‘আজ ওয়াশিংটনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উপস্থিত রয়েছেন। আমরা আশাবাদী যে এই আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং এর ফলে বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাই শুল্কসংক্রান্ত যে জটিলতা আছে, তা সমাধান করাই এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। আলোচনা ইতিবাচক হলে আমাদের রপ্তানি ও বাণিজ্য আগের মতোই স্থিতিশীল থাকবে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সমর্থনকে বাংলাদেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৮:২৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্প্রতি ফোনালাপে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, ফোনালাপে উভয় পক্ষই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গত সোমবার (৩০ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সংস্কার কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা উঠে আসে এবং আলোচনার একপর্যায়ে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টিও উঠে আসে।’

কোন পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলোচনাটি ছিল খুব আন্তরিক। উভয় পক্ষই নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, নির্বাচনের আয়োজন দ্রুত করারই পরিকল্পনা রয়েছে।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিষয়ে চলমান আলোচনার প্রসঙ্গও উঠে আসে। মো. তৌহিদ হোসেন জানান, ‘আজ ওয়াশিংটনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উপস্থিত রয়েছেন। আমরা আশাবাদী যে এই আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং এর ফলে বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাই শুল্কসংক্রান্ত যে জটিলতা আছে, তা সমাধান করাই এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। আলোচনা ইতিবাচক হলে আমাদের রপ্তানি ও বাণিজ্য আগের মতোই স্থিতিশীল থাকবে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সমর্থনকে বাংলাদেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।