ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ, পুতিনের যুক্তভুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা বহাল এনবিআরের পূর্ণ শাটডাউনে অচল দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি ডলারের মানহানি মামলা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের বাফুফে ট্রায়ালে প্রবাসী ঝড়: হামজা-শমিতের পর এবার আসলেন আরো ৪৩ ফুটবলার সর্দি কাশি দূর করার ১১টি ঘরোয়া উপায় ভবিষ্যতে বিদেশে গরুর মাংস রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ভারতের স্থলবন্দরে ৯ প্রকার বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 16

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনা দেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যগুলো আর আমদানি করা যাবে না। তবে এগুলো শুধুমাত্র ভারতের নভোসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা যাবে।

নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা এবং বিশেষ ধরনের পাটজাত কাপড়।

এর আগে গত মে মাসে ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তখনও একইভাবে পোশাকপণ্য মহারাষ্ট্রের নভোসেবা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনার অনুমতি রেখেছিল ভারত।

বাংলাদেশ প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। কিন্তু স্থলবন্দর দিয়ে এসব পোশাকপণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ায় এ খাতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশ্যে যেসব পণ্য যাবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তবে সেসব পণ্য পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ছোট ব্যবসায়ী এবং পরিবহন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যের যাতায়াত সহজ এবং কম খরচের হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে স্থলপথের গুরুত্ব অনেক বেশি। ফলে নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় সীমান্তবর্তী অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের নীতি-নির্ধারকদের দ্রুত আলোচনায় বসা প্রয়োজন, যাতে সামগ্রিক বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের স্থলবন্দরে ৯ প্রকার বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

আপডেট সময় ১১:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

ভারত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনা দেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যগুলো আর আমদানি করা যাবে না। তবে এগুলো শুধুমাত্র ভারতের নভোসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা যাবে।

নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা এবং বিশেষ ধরনের পাটজাত কাপড়।

এর আগে গত মে মাসে ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তখনও একইভাবে পোশাকপণ্য মহারাষ্ট্রের নভোসেবা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনার অনুমতি রেখেছিল ভারত।

বাংলাদেশ প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। কিন্তু স্থলবন্দর দিয়ে এসব পোশাকপণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ায় এ খাতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশ্যে যেসব পণ্য যাবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তবে সেসব পণ্য পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ছোট ব্যবসায়ী এবং পরিবহন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যের যাতায়াত সহজ এবং কম খরচের হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে স্থলপথের গুরুত্ব অনেক বেশি। ফলে নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় সীমান্তবর্তী অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের নীতি-নির্ধারকদের দ্রুত আলোচনায় বসা প্রয়োজন, যাতে সামগ্রিক বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।