ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ চলতি মাসের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক সাভারে বিশেষ অভিযান শীর্ষ সন্ত্রাসী টুটুল গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নীতিই ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে পারবে না: গভর্নর গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯২ ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন নির্বাচনের বিলম্বে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে: মির্জা ফখরুল দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২০ বাংলাদেশিকে বিএসএফের পুশইন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (১৮ জুন) ভোর ৫টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে মাসুদপুর বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪/-১ এস দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।

পুশইন হওয়া এসব ব্যক্তির মধ্যে তিনজন পুরুষ, সাতজন নারী ও ১০ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে জানিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, ফেরত পাঠানোদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। যাচাই শেষে তাদের শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু বলেন, “বিএসএফের এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে। আমরা এ বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশু পুশইনের ঘটনা বন্ধে বিজিবি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে এবং এ ধরনের কার্যক্রম প্রতিরোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও মানবিকতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে বিজিবি সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। গত ২৭ মে বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন এবং ৩ জুন চানশিকারী সীমান্ত দিয়ে আটজন বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ।

সীমান্তে নিয়মিতভাবে এমন পুশইন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন মানবাধিকারকর্মী ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। তাদের মতে, এমন ঘটনায় একদিকে যেমন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়, তেমনি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে যৌথভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২০ বাংলাদেশিকে বিএসএফের পুশইন

আপডেট সময় ১১:৩২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (১৮ জুন) ভোর ৫টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে মাসুদপুর বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪/-১ এস দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।

পুশইন হওয়া এসব ব্যক্তির মধ্যে তিনজন পুরুষ, সাতজন নারী ও ১০ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে জানিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, ফেরত পাঠানোদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। যাচাই শেষে তাদের শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু বলেন, “বিএসএফের এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে। আমরা এ বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশু পুশইনের ঘটনা বন্ধে বিজিবি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে এবং এ ধরনের কার্যক্রম প্রতিরোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও মানবিকতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে বিজিবি সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। গত ২৭ মে বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন এবং ৩ জুন চানশিকারী সীমান্ত দিয়ে আটজন বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ।

সীমান্তে নিয়মিতভাবে এমন পুশইন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন মানবাধিকারকর্মী ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। তাদের মতে, এমন ঘটনায় একদিকে যেমন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়, তেমনি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে যৌথভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।