ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্তে ৫ মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষার্থী নিহত জনসমর্থন থাকলে কেউ পালায় না: এটিএম আজাহারুল ইসলাম এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: ২৪২ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাবনা সাতক্ষীরায় জুয়ার আসরে পুলিশের হানা, গ্রেপ্তার ৯

ঈদের আনন্দে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তায় সজাগ প্রশাসন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে উপচে পড়েছে পর্যটকের ঢল। উত্তাল সাগর, রোদ-বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশে মাতোয়ারা লাখো ভ্রমণপিপাসু। ঈদের চতুর্থ দিনে সাগরতীরে কাটছে বাঁধভাঙা আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরা প্রতিটি মুহূর্ত। সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা এবং তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে সক্রিয় ট্যুরিস্ট পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ১২টা নাগাদ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তিন কিলোমিটারজুড়ে জড়ো হন দুই লাখের বেশি পর্যটক। কখনো রোদ, কখনো ঝুম বৃষ্টি, আবার কখনো মেঘ প্রাকৃতিক এই পরিবর্তন যেন পর্যটকদের আনন্দকে করে তুলেছে বহুগুণে। কেউ সমুদ্রে ঝাঁপ দিচ্ছেন, কেউ বালুচরে খেলায় মেতে উঠেছেন, কেউবা ছবি তোলায় ব্যস্ত।

মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব পর্যটক আজাদ রহমান বলেন, “অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের ঈদটা অনেক ভিন্ন। আমি বলব, জীবনে অন্তত একবার নাতিকে নিয়ে কক্সবাজারে আসুন, ঘোড়ায় চড়ুন নিজেই বুঝবেন, ছোটবেলায় ফিরে গেছেন।”

ঢাকা থেকে আসা শফিক রহমান বলেন, “ঈদ মানেই আনন্দ ও ত্যাগের মিলন। এই আনন্দ দ্বিগুণ হয় কক্সবাজারে এসে। আবহাওয়াটাও চমৎকার রোদ, বৃষ্টি, সবই মিলেমিশে এক অভূতপূর্ব আনন্দ দিচ্ছে।”

তবে পর্যটকের বিপুল ভিড়ের মাঝে কিছু অসুবিধার কথাও জানান সুমাইয়া ইয়াছমিন। তিনি বলেন, “মানুষের ভিড় এত বেশি যে ঠিকমতো সমুদ্র উপভোগ করা যাচ্ছে না, তবু রোদ-বৃষ্টির মিলনে কক্সবাজার বেশ ভালোই লাগছে।”

উত্তাল সাগরে তৈরি হয়েছে গর্ত ও উল্টো স্রোতের টান। ফলে লাইফ গার্ড কর্মীরা সতর্কভাবে তিন স্তরে কাজ করছেন টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ, বালুচরে টহল এবং পানিতে বোট নিয়ে নজরদারি। ‘সি সেফ লাইফ’ সংস্থার সিনিয়র কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, “সতর্কতা জরুরি। পর্যটকদের আমাদের নির্দেশনা মানতেই হবে, তা না হলে বিপদ ঘটতে পারে।”

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, “মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশও কাজ করছে।” এ ছাড়া পর্যটকদের হয়রানি রোধে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম মাঠে রয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি।

শুধু সমুদ্রসৈকত নয়, পর্যটকরা ভ্রমণ করছেন হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, মেরিন ড্রাইভ, রামুর বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালী, বার্মিজ মার্কেট, ফিশ ওয়ার্ল্ড ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ জেলার জনপ্রিয় সব দর্শনীয় স্থানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদের আনন্দে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তায় সজাগ প্রশাসন

আপডেট সময় ০৮:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

 

ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে উপচে পড়েছে পর্যটকের ঢল। উত্তাল সাগর, রোদ-বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশে মাতোয়ারা লাখো ভ্রমণপিপাসু। ঈদের চতুর্থ দিনে সাগরতীরে কাটছে বাঁধভাঙা আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরা প্রতিটি মুহূর্ত। সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা এবং তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে সক্রিয় ট্যুরিস্ট পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ১২টা নাগাদ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তিন কিলোমিটারজুড়ে জড়ো হন দুই লাখের বেশি পর্যটক। কখনো রোদ, কখনো ঝুম বৃষ্টি, আবার কখনো মেঘ প্রাকৃতিক এই পরিবর্তন যেন পর্যটকদের আনন্দকে করে তুলেছে বহুগুণে। কেউ সমুদ্রে ঝাঁপ দিচ্ছেন, কেউ বালুচরে খেলায় মেতে উঠেছেন, কেউবা ছবি তোলায় ব্যস্ত।

মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব পর্যটক আজাদ রহমান বলেন, “অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের ঈদটা অনেক ভিন্ন। আমি বলব, জীবনে অন্তত একবার নাতিকে নিয়ে কক্সবাজারে আসুন, ঘোড়ায় চড়ুন নিজেই বুঝবেন, ছোটবেলায় ফিরে গেছেন।”

ঢাকা থেকে আসা শফিক রহমান বলেন, “ঈদ মানেই আনন্দ ও ত্যাগের মিলন। এই আনন্দ দ্বিগুণ হয় কক্সবাজারে এসে। আবহাওয়াটাও চমৎকার রোদ, বৃষ্টি, সবই মিলেমিশে এক অভূতপূর্ব আনন্দ দিচ্ছে।”

তবে পর্যটকের বিপুল ভিড়ের মাঝে কিছু অসুবিধার কথাও জানান সুমাইয়া ইয়াছমিন। তিনি বলেন, “মানুষের ভিড় এত বেশি যে ঠিকমতো সমুদ্র উপভোগ করা যাচ্ছে না, তবু রোদ-বৃষ্টির মিলনে কক্সবাজার বেশ ভালোই লাগছে।”

উত্তাল সাগরে তৈরি হয়েছে গর্ত ও উল্টো স্রোতের টান। ফলে লাইফ গার্ড কর্মীরা সতর্কভাবে তিন স্তরে কাজ করছেন টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ, বালুচরে টহল এবং পানিতে বোট নিয়ে নজরদারি। ‘সি সেফ লাইফ’ সংস্থার সিনিয়র কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, “সতর্কতা জরুরি। পর্যটকদের আমাদের নির্দেশনা মানতেই হবে, তা না হলে বিপদ ঘটতে পারে।”

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, “মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশও কাজ করছে।” এ ছাড়া পর্যটকদের হয়রানি রোধে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম মাঠে রয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি।

শুধু সমুদ্রসৈকত নয়, পর্যটকরা ভ্রমণ করছেন হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, মেরিন ড্রাইভ, রামুর বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালী, বার্মিজ মার্কেট, ফিশ ওয়ার্ল্ড ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ জেলার জনপ্রিয় সব দর্শনীয় স্থানে।