ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এইচএসসি পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ৩৩ নির্দেশনা জারি সীমান্তে সন্দেহভাজন পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে হত্যা বিএসএফএর প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না, দায়িত্বে থাকছেন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ইউরোপে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সের রেকর্ড গড়ছে ডেনমার্ক কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত, নিহত ৬ ইউক্রেনীয় সেনা সব দলের এক ইচ্ছা, নির্বাচন চান সবাই – দায়িত্বে থাকুক প্রধান উপদেষ্টা ভোলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলবে ১৭ ফেরি ও ২০ লঞ্চ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে সারা দেশে গ্রেফতার ১,৭৪৪ জন

শান্তিচুক্তির আগেই কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের ঐতিহাসিক ঘটনার পরপরই কিয়েভে ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (২৪ মে) ভোররাতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে এবং শহরের নানা প্রান্তে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন এবং দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন কিয়েভের আকাশে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। মেয়র ক্লিটসকো বলেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো সক্রিয়ভাবে পাল্টা প্রতিরোধে কাজ করছে।

এর আগে শুক্রবার (২৩ মে) ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়। দুই দেশই ৩৯০ জন করে সামরিক ও বেসামরিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তুরস্কে রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই বন্দি বিনিময়ে অগ্রগতি ঘটে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি পক্ষ ২৭০ জন সামরিক এবং ১২০ জন করে বেসামরিক বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বন্দি মুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ায় যেসব ইউক্রেনীয় সেনা ও বেসামরিক নাগরিক বন্দি আছেন, তাদের সবাইকে মুক্ত করাই কিয়েভের লক্ষ্য।” তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “এটাই রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর সঠিক সময়। কারণ এতে শুধু ফলাফল আসবে না, বরং আমাদের প্রাপ্য অধিকারের প্রতিফলন ঘটবে।”

এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর তারা ইউক্রেনের সামনে একটি খসড়া শান্তিচুক্তি পেশ করবে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তিচুক্তির কাঠামো গঠনে আমরা প্রস্তুত।”

তবে ক্রেমলিন এখনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। এছাড়া ভ্যাটিকানকে শান্তি আলোচনার সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বিবেচনার যে প্রস্তাব উঠেছিল, সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছেন লাভরভ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বন্দি বিনিময় বড় কিছুর ইঙ্গিত দিলেও বাস্তব শান্তি এখনও অনেক দূরের পথ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তিচুক্তির আগেই কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট সময় ১২:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের ঐতিহাসিক ঘটনার পরপরই কিয়েভে ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (২৪ মে) ভোররাতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে এবং শহরের নানা প্রান্তে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন এবং দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন কিয়েভের আকাশে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। মেয়র ক্লিটসকো বলেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো সক্রিয়ভাবে পাল্টা প্রতিরোধে কাজ করছে।

এর আগে শুক্রবার (২৩ মে) ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়। দুই দেশই ৩৯০ জন করে সামরিক ও বেসামরিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তুরস্কে রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই বন্দি বিনিময়ে অগ্রগতি ঘটে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি পক্ষ ২৭০ জন সামরিক এবং ১২০ জন করে বেসামরিক বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বন্দি মুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ায় যেসব ইউক্রেনীয় সেনা ও বেসামরিক নাগরিক বন্দি আছেন, তাদের সবাইকে মুক্ত করাই কিয়েভের লক্ষ্য।” তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “এটাই রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর সঠিক সময়। কারণ এতে শুধু ফলাফল আসবে না, বরং আমাদের প্রাপ্য অধিকারের প্রতিফলন ঘটবে।”

এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর তারা ইউক্রেনের সামনে একটি খসড়া শান্তিচুক্তি পেশ করবে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তিচুক্তির কাঠামো গঠনে আমরা প্রস্তুত।”

তবে ক্রেমলিন এখনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি। এছাড়া ভ্যাটিকানকে শান্তি আলোচনার সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বিবেচনার যে প্রস্তাব উঠেছিল, সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছেন লাভরভ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বন্দি বিনিময় বড় কিছুর ইঙ্গিত দিলেও বাস্তব শান্তি এখনও অনেক দূরের পথ।