ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দায় শেখ হাসিনার, দাবি চিফ প্রসিকিউটরের

গণহত্যা, শেখহাসিনা, চিফপ্রসিকিউটর
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এসব হত্যার উসকানি, প্ররোচনা এবং সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ফলে, গণহত্যার পূর্ণ দায়ভার তার ওপর বর্তায়।

সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই গণহত্যার প্রতিটি ঘটনার পেছনে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।”

এর আগে সোমবার সকাল ১১টার দিকে তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ও তদন্ত কর্মকর্তারা গণহত্যা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশ দেওয়াসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নামও যুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই মামলাটি রাষ্ট্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়। যে কোনো মূল্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া দরকার যারা এই ভয়াবহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।”

এই মামলার পরবর্তী ধাপে তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই প্রতিবেদন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখন নজর রয়েছে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দায় শেখ হাসিনার, দাবি চিফ প্রসিকিউটরের

আপডেট সময় ০৪:২৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এসব হত্যার উসকানি, প্ররোচনা এবং সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ফলে, গণহত্যার পূর্ণ দায়ভার তার ওপর বর্তায়।

সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই গণহত্যার প্রতিটি ঘটনার পেছনে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।”

এর আগে সোমবার সকাল ১১টার দিকে তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ও তদন্ত কর্মকর্তারা গণহত্যা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশ দেওয়াসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নামও যুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই মামলাটি রাষ্ট্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়। যে কোনো মূল্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া দরকার যারা এই ভয়াবহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।”

এই মামলার পরবর্তী ধাপে তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই প্রতিবেদন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখন নজর রয়েছে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।