ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চট্টগ্রাম বন্দরে সচল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫, আহত ১৫ সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস উল্টে ৬ শিশুসহ আহত অন্তত ২০ শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন আজহার মাহমুদ স্থলবন্দরে রয়েছে নিরাপত্তায় ঘাটতি, আছে চোরাচালানের অভিযোগ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দায় শেখ হাসিনার, দাবি চিফ প্রসিকিউটরের

গণহত্যা, শেখহাসিনা, চিফপ্রসিকিউটর
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এসব হত্যার উসকানি, প্ররোচনা এবং সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ফলে, গণহত্যার পূর্ণ দায়ভার তার ওপর বর্তায়।

সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই গণহত্যার প্রতিটি ঘটনার পেছনে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।”

এর আগে সোমবার সকাল ১১টার দিকে তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ও তদন্ত কর্মকর্তারা গণহত্যা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশ দেওয়াসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নামও যুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই মামলাটি রাষ্ট্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়। যে কোনো মূল্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া দরকার যারা এই ভয়াবহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।”

এই মামলার পরবর্তী ধাপে তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই প্রতিবেদন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখন নজর রয়েছে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দায় শেখ হাসিনার, দাবি চিফ প্রসিকিউটরের

আপডেট সময় ০৪:২৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এসব হত্যার উসকানি, প্ররোচনা এবং সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ফলে, গণহত্যার পূর্ণ দায়ভার তার ওপর বর্তায়।

সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “জুলাই গণহত্যার প্রতিটি ঘটনার পেছনে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।”

এর আগে সোমবার সকাল ১১টার দিকে তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ও তদন্ত কর্মকর্তারা গণহত্যা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশ দেওয়াসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নামও যুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই মামলাটি রাষ্ট্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়। যে কোনো মূল্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া দরকার যারা এই ভয়াবহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।”

এই মামলার পরবর্তী ধাপে তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই প্রতিবেদন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখন নজর রয়েছে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।