ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইসলাম ব্যবসার ক্ষেত্রে অতিমুনাফাকে সমর্থন করে না: পরিবেশ উপদেষ্টা করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করাও অপরাধের শামিল : অ্যাটর্নি জেনারেল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা ভারতের উত্তর প্রদেশে বিয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা, বরসহ নিহত একই পরিবারের ৮ জন শেরপুরের কাটাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্য হাতির মৃত্যু, উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা নওগাঁর রায়হান আলম: আমচাষে নবজাগরণ ঘটানো এক সাহসী কৃষক গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই : ট্রাম্প কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ডোনেশন ওয়েবসাইট উদ্বোধন কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: দুই দিন পর মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২ জন

বেনিনে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৭০ সেনা নিহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশ বেনিনে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি সামরিক ঘাঁটিতে চালানো এই হামলায় অন্তত ৭০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আল-কায়েদা-সম্পৃক্ত জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত নাসর আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্সের বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।

জেএনআইএম মূলত আল-কায়েদার একটি শাখা সংগঠন, যারা সাহেল অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তবে এখন তারা বেনিন, টোগোসহ পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশগুলোতেও তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাহেল অঞ্চলের সীমান্ত পেরিয়ে এসব দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিস্তার এই অঞ্চলের জন্য নতুন হুমকির বার্তা বহন করছে।

হামলার বিষয়ে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে স্বাধীনভাবে কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে জেএনআইএমের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা বেনিনে দুটি সেনা স্থাপনায় একযোগে হামলা চালিয়ে ৭০ জন সেনাকে হত্যা করেছে। তাদের দাবি, এই হামলা পশ্চিম আফ্রিকায় তাদের কার্যক্রমের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মালির উত্তরে তুয়ারেগ বিদ্রোহের পর সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ভিত্তি গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে তীব্র সন্ত্রাসী হামলার পর এখন তারা বেনিনসহ অন্যান্য উপকূলীয় দেশে বিস্তার লাভ করছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এখনো হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সাহেল অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা এখন ক্রমেই উপকূলীয় আফ্রিকার নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এই হামলার পর বেনিনসহ আশপাশের দেশগুলোতে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জেএনআইএমের এই ধরনের অভিযানগুলো ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার নিতে পারে, যা গোটা পশ্চিম আফ্রিকার স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগজনক সংকেত।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেনিনে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৭০ সেনা নিহত

আপডেট সময় ০৯:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশ বেনিনে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি সামরিক ঘাঁটিতে চালানো এই হামলায় অন্তত ৭০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আল-কায়েদা-সম্পৃক্ত জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত নাসর আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্সের বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।

জেএনআইএম মূলত আল-কায়েদার একটি শাখা সংগঠন, যারা সাহেল অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তবে এখন তারা বেনিন, টোগোসহ পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশগুলোতেও তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাহেল অঞ্চলের সীমান্ত পেরিয়ে এসব দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিস্তার এই অঞ্চলের জন্য নতুন হুমকির বার্তা বহন করছে।

হামলার বিষয়ে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে স্বাধীনভাবে কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে জেএনআইএমের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা বেনিনে দুটি সেনা স্থাপনায় একযোগে হামলা চালিয়ে ৭০ জন সেনাকে হত্যা করেছে। তাদের দাবি, এই হামলা পশ্চিম আফ্রিকায় তাদের কার্যক্রমের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মালির উত্তরে তুয়ারেগ বিদ্রোহের পর সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ভিত্তি গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে তীব্র সন্ত্রাসী হামলার পর এখন তারা বেনিনসহ অন্যান্য উপকূলীয় দেশে বিস্তার লাভ করছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এখনো হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সাহেল অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা এখন ক্রমেই উপকূলীয় আফ্রিকার নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এই হামলার পর বেনিনসহ আশপাশের দেশগুলোতে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জেএনআইএমের এই ধরনের অভিযানগুলো ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার নিতে পারে, যা গোটা পশ্চিম আফ্রিকার স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগজনক সংকেত।