ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের কড়া জবাব: পণ্যে ৮৪% শুল্ক কাল থেকেই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১০৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা পদক্ষেপ নিল বেইজিং। বুধবার চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৩৪ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করবে। নতুন এই শুল্ক হার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বুধবারই নতুন এই শুল্কনীতির বাস্তবায়ন শুরু করে, যা বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদারকে প্রভাবিত করছে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা এসেছে চীনের দিকেই। এর জবাবে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং তা ‘চীনের স্বার্থের চরম লঙ্ঘন’।

বেইজিংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এই বেআইনি ও একপাক্ষিক বাণিজ্য বাধার বিরুদ্ধে দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। নিজেদের বৈধ অধিকার রক্ষায় চীন পিছিয়ে থাকবে না।’

চীন এমন সময় এই পাল্টা ঘোষণা দিল যখন বিশ্ব অর্থনীতি এক অস্থির সময় পার করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এধরনের বাণিজ্যিক উত্তেজনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং বলেন, ‘চীন আজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা পিছু হটবে না। এই সংঘাত সহজে মীমাংসা হবে বলে আমি মনে করি না। বরং দুই দেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত এর প্রভাব অনুভব করবে।’

এরই মধ্যে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি পৃথক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই প্রতিষ্ঠানগুলো হয় তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করেছে, নয়তো দ্বীপটির সঙ্গে সামরিক প্রযুক্তি সহযোগিতায় যুক্ত ছিল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য দ্বন্দ্ব এবার আরও গুরুতর মোড় নিচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থা ও বহুপাক্ষিক নীতির প্রতি আস্থা যেন দিন দিন কমে যাচ্ছে। দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির এই মুখোমুখি অবস্থান আগামী দিনে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের কড়া জবাব: পণ্যে ৮৪% শুল্ক কাল থেকেই

আপডেট সময় ০৮:২১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১০৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা পদক্ষেপ নিল বেইজিং। বুধবার চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৩৪ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করবে। নতুন এই শুল্ক হার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বুধবারই নতুন এই শুল্কনীতির বাস্তবায়ন শুরু করে, যা বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদারকে প্রভাবিত করছে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা এসেছে চীনের দিকেই। এর জবাবে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং তা ‘চীনের স্বার্থের চরম লঙ্ঘন’।

বেইজিংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এই বেআইনি ও একপাক্ষিক বাণিজ্য বাধার বিরুদ্ধে দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। নিজেদের বৈধ অধিকার রক্ষায় চীন পিছিয়ে থাকবে না।’

চীন এমন সময় এই পাল্টা ঘোষণা দিল যখন বিশ্ব অর্থনীতি এক অস্থির সময় পার করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এধরনের বাণিজ্যিক উত্তেজনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং বলেন, ‘চীন আজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা পিছু হটবে না। এই সংঘাত সহজে মীমাংসা হবে বলে আমি মনে করি না। বরং দুই দেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত এর প্রভাব অনুভব করবে।’

এরই মধ্যে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি পৃথক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই প্রতিষ্ঠানগুলো হয় তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করেছে, নয়তো দ্বীপটির সঙ্গে সামরিক প্রযুক্তি সহযোগিতায় যুক্ত ছিল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য দ্বন্দ্ব এবার আরও গুরুতর মোড় নিচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থা ও বহুপাক্ষিক নীতির প্রতি আস্থা যেন দিন দিন কমে যাচ্ছে। দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির এই মুখোমুখি অবস্থান আগামী দিনে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।