রফতানিতে নতুন গতি: ৯ মাসেই আয় বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি

- আপডেট সময় ০৭:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 45
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশের রফতানি আয়ে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৭১৯ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক খাত এখনও দেশের প্রধান রফতানি খাত হিসেবে এগিয়ে রয়েছে। এই খাত থেকেই এসেছে ৩ হাজার ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে নিটওয়্যার থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৬১৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলার প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ২২ শতাংশ। অন্যদিকে, ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১ হাজার ৪০৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বৃদ্ধি ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্যান্য খাতও রফতানিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। হোম টেক্সটাইল খাত আয় করেছে ৬৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারে, প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কৃষি পণ্য রফতানিও পিছিয়ে নেই; এই খাত থেকে এসেছে ৮০ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি।
মার্চ মাস এককভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মাসটিতে রফতানি আয় হয়েছে ৪২৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বছর ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি, অর্ডার প্রবাহে স্থিতিশীলতা এবং বাজার বৈচিত্র্য রফতানি আয়ের এই ইতিবাচক ধারায় ভূমিকা রাখছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য প্রয়োজন উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো ও নতুন বাজারে প্রবেশের কৌশল।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রফতানির এমন প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়, যা শিল্প ও বাণিজ্য খাতে আশার সঞ্চার করছে।