চালু হবে জাতীয় পুরস্কার,মাইলস্টোন শিক্ষক মেহরিন চৌধুরীর নামে

- আপডেট সময় ০৫:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
- / 10
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে শিক্ষার্থীদের প্রাণ বাঁচান সাহসী শিক্ষক মেহরিন চৌধুরী। এই আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষকদের জন্য তার নামে একটি বিশেষ অ্যাওয়ার্ড চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, মাইলস্টোন ট্রাজেডি নিয়ে আবার আলোচনা হয়েছে। সেখানে যারা মারা গেছেন, বিশেষ করে দুজন টিচার ও একজন আয়া, তাদের বিশেষ কি সম্মাননা দেওয়া যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়। সামনে আপনারা এটার সিদ্ধান্তটা জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, মেহরিন চৌধুরী যে বীরত্ব ও সাহস দেখিয়েছেন উনার স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে; তিনি নিজের জীবনকে আত্মদান করেছেন। উনার নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা জাতীয় পুরস্কার ঘোষণা করবে খুব শিগগিরই। এই পুরস্কারের নাম হবে ‘মেহরিন চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিসেস’। এটা শুধু শিক্ষকদের দেওয়া হবে।
প্রেস সচিব বলেন, মেহরিন চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড প্রতি বছর এমন শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের দেওয়া হবে, যারা সাহসিকতা, মানবতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক নীতিমালা ও প্রক্রিয়া শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
গত ২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাঙ্গণে বিধ্বস্ত হয়। তখন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলছিল। পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে উঠলে শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরী সাহসিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এগিয়ে আসেন। এতে প্রাণে বাঁচে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী।
ঘটনার পরপরই তার বীরত্বগাথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, সমগ্র জাতি শোক ও শ্রদ্ধায় মুষড়ে পড়ে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়, সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষ হয় দুপুরে। এ ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে উপদেষ্টা পরিষদের সচিবালয়ে দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক বৈঠক। বৈঠকের আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল মেহরিন চৌধুরীর আত্মত্যাগ।
প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতি উপলক্ষে সচিবালয়ে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়। ১ নম্বর গেট ব্যতীত অন্য সব গেট বন্ধ রাখা হয় এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।