ঢাকা ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 22

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এদিন সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ ফারহান ইবনে গফুর সাবিনা আক্তার তুহিনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন তার জামিনের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে, ২২ জুন রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল (ডিবি)। পরে ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তার আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় সাবিনা আক্তার তুহিনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সাবিনা আক্তার তুহিন এর আগে যুব মহিলা লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন এবং পরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং মামলার আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এদিন সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ ফারহান ইবনে গফুর সাবিনা আক্তার তুহিনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন তার জামিনের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে, ২২ জুন রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল (ডিবি)। পরে ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তার আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় সাবিনা আক্তার তুহিনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সাবিনা আক্তার তুহিন এর আগে যুব মহিলা লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন এবং পরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং মামলার আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হবে।