ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

বার্সার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন: বার্সেলোনা দেখাল, হার মানাই শেষ কথা নয়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

কোলাজ করা দুটি ছবি যেন এক আশ্চর্য গল্প বলে। প্রথম ছবিতে ৭২ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা, আর দ্বিতীয়টিতে ৯৮ মিনিটে উল্লাসরত দল, স্কোরলাইন ৪-২! বার্সার অফিসিয়াল পেজে ক্যাপশন: “এটাই সেই মুহূর্ত, যাকে আপনারা ঘুরে দাঁড়ানো বলেন।”

লা লিগায় আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার এ জয়ের গল্পটা নিছক জয় নয়, এক মহাকাব্য। ৭২ মিনিটে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সা শেষ মুহূর্তে চার গোল দিয়ে ম্যাচ উল্টে দেয়। যে ম্যাচে ৯২ ও ৯৮ মিনিটে পরপর দুই গোল করে ইয়ামাল ও ফেরান তরেস রচনা করেন অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস।

শুরুটা অবশ্য বার্সার জন্য ছিল কঠিন। আতলেতিকোর মাঠে প্রথমার্ধের শেষ দিকে হুলিয়ান আলভারেজের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা। বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ৭০ মিনিটে আলেক্সান্দার সরলোথের গোলে আরও পিছিয়ে পড়ে বার্সা।

কিন্তু এরপরই শুরু হয় নাটকীয়তা। ৭২ মিনিটে লেভানডফস্কির গোল বার্সাকে ম্যাচে ফেরায়। এরপর ৭৮ মিনিটে ফেরান তরেস গোল করে সমতা ফেরান। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়, তখনই আসে চমক। ৯২ মিনিটে ইয়ামালের চোখধাঁধানো গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় বার্সা। ৯৮ মিনিটে তরেসের দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত করে অবিশ্বাস্য জয়।

এই জয়ের ফলে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় ২৭ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উঠে গেছে বার্সেলোনা। যদিও সমান ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ, তবে গোল ব্যবধানে (+৪৮) এগিয়ে কাতালানরা।

এই মৌসুমে এর আগে আতলেতিকোর বিপক্ষে জয়হীন ছিল বার্সা। ঘরের মাঠে হেরে বসেছিল ২-১ গোলে, কোপা দেল রেতে ৪-৪ গোলে ড্র করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে আতলেতিকোর মাঠে জয় তুলে নেওয়া ছিল এক বিশাল মনোবল বাড়ানোর উপলক্ষ।

ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, “আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং খেলার ধরণ ছিল অসাধারণ। এই জয় আমাদের শিরোপার লড়াইয়ে আরও উজ্জীবিত করবে।” ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম নায়ক ইয়ামাল বলেন, “এটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। এমন জয়ের পর আনন্দিত না হয়ে পারি না!”

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বার্সেলোনা প্রমাণ করল, তাদের হার মানার মানসিকতা নেই। এই জয় শুধু তিন পয়েন্ট নয়, বরং শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দেওয়ার বার্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বার্সার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন: বার্সেলোনা দেখাল, হার মানাই শেষ কথা নয়

আপডেট সময় ০১:২৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

কোলাজ করা দুটি ছবি যেন এক আশ্চর্য গল্প বলে। প্রথম ছবিতে ৭২ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা, আর দ্বিতীয়টিতে ৯৮ মিনিটে উল্লাসরত দল, স্কোরলাইন ৪-২! বার্সার অফিসিয়াল পেজে ক্যাপশন: “এটাই সেই মুহূর্ত, যাকে আপনারা ঘুরে দাঁড়ানো বলেন।”

লা লিগায় আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার এ জয়ের গল্পটা নিছক জয় নয়, এক মহাকাব্য। ৭২ মিনিটে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সা শেষ মুহূর্তে চার গোল দিয়ে ম্যাচ উল্টে দেয়। যে ম্যাচে ৯২ ও ৯৮ মিনিটে পরপর দুই গোল করে ইয়ামাল ও ফেরান তরেস রচনা করেন অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস।

শুরুটা অবশ্য বার্সার জন্য ছিল কঠিন। আতলেতিকোর মাঠে প্রথমার্ধের শেষ দিকে হুলিয়ান আলভারেজের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা। বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ৭০ মিনিটে আলেক্সান্দার সরলোথের গোলে আরও পিছিয়ে পড়ে বার্সা।

কিন্তু এরপরই শুরু হয় নাটকীয়তা। ৭২ মিনিটে লেভানডফস্কির গোল বার্সাকে ম্যাচে ফেরায়। এরপর ৭৮ মিনিটে ফেরান তরেস গোল করে সমতা ফেরান। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়, তখনই আসে চমক। ৯২ মিনিটে ইয়ামালের চোখধাঁধানো গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় বার্সা। ৯৮ মিনিটে তরেসের দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত করে অবিশ্বাস্য জয়।

এই জয়ের ফলে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় ২৭ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উঠে গেছে বার্সেলোনা। যদিও সমান ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ, তবে গোল ব্যবধানে (+৪৮) এগিয়ে কাতালানরা।

এই মৌসুমে এর আগে আতলেতিকোর বিপক্ষে জয়হীন ছিল বার্সা। ঘরের মাঠে হেরে বসেছিল ২-১ গোলে, কোপা দেল রেতে ৪-৪ গোলে ড্র করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে আতলেতিকোর মাঠে জয় তুলে নেওয়া ছিল এক বিশাল মনোবল বাড়ানোর উপলক্ষ।

ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, “আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং খেলার ধরণ ছিল অসাধারণ। এই জয় আমাদের শিরোপার লড়াইয়ে আরও উজ্জীবিত করবে।” ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম নায়ক ইয়ামাল বলেন, “এটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। এমন জয়ের পর আনন্দিত না হয়ে পারি না!”

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বার্সেলোনা প্রমাণ করল, তাদের হার মানার মানসিকতা নেই। এই জয় শুধু তিন পয়েন্ট নয়, বরং শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দেওয়ার বার্তা।