মেসির ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে পিএসজি

- আপডেট সময় ১০:১১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / 8
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা ৪-০ গোলে জিতে বুকভরা আত্মবিশ্বাসে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ইন্টার মায়ামির সঙ্গে বিশাল ব্যবধান তৈরি করে পিএসজি। মেসিরা মাঠে ছিলেন একরকম নিষ্প্রভ, যেন কোনো প্রতিরোধের ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন। খেলার ধারাভাষ্যকারও বলেছিলেন, ‘পিএসজি দুই পা-ই দিয়ে রেখেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।’ প্রথমার্ধে বলের দখলে শতকরা ৮৭ ভাগই ছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের কাছে।
ম্যাচের শুরুতে মাত্র ৬ মিনিটেই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না পিএসজি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ মিনিটে আবারও নেভেসের গোল মায়ামির জাল কাঁপায়।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে ইন্টার মায়ামির দুর্ভাগ্যও যোগ হয়। ৪৪ মিনিটে তমাস আভিলেসের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বেড়ে যায়, এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আশরাফ হাকিমির লক্ষ্যভেদে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০।
মেসিরা তখন কার্যত হতাশায় ডুবে ছিলেন। ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটিও নষ্ট করেন লুইস সুয়ারেজ। মেসির দারুণ এক ক্রস পেয়েও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ইন্টার মায়ামির পারফরম্যান্স কিছুটা উন্নত হয়েছিল। অন্তত আর গোল হজম করতে হয়নি তাদের। তবে ব্যবধান কমানোর মতো দৃঢ়তা দেখাতে পারেননি মেসি-সুয়ারেজরা। ফলে শেষ পর্যন্ত ৪-০ ব্যবধানেই বিদায় নিতে হয় তাদের।
ম্যাচ ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মেসি, কারণ সাবেক ক্লাব পিএসজির বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়াই ছিল বড় বিজ্ঞাপন। কিন্তু মনের ক্ষত নিয়ে বিদায় নেওয়া ক্লাবের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
পিএসজির সামনে এখন বিশ্বজয়ের আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো অথবা জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ, যারা আজ রাতেই মুখোমুখি হবে। ফ্ল্যামেঙ্গো কিংবা বায়ার্ন যে পিএসজিকে আরও বড় পরীক্ষা নেবে, তা সহজেই অনুমেয়। তবে প্রথমার্ধের মতো আধিপত্যশীল খেলা ধরে রাখতে পারলে পিএসজির সেমিফাইনালে ওঠা মোটেও অসম্ভব নয়।
মেসির ক্যারিয়ারের অন্যতম বাজে হার হিসেবেই থেকে যাবে এই ম্যাচটি, যেখানে প্রথমার্ধের পরই কার্যত হেরে বসেছিল তার দল। ভাগ্যিস, আরও বড় ব্যবধানের দুঃস্বপ্ন দেখতে হয়নি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে।