ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ঘরধস, প্রাণ হারাল আরও ৮ জন আবু সাঈদ হত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল সুদানের স্বর্ণখনি ধসে ১১ শ্রমিক নিহত, আহত ৭ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এখনো পুরোপুরি আশ্বস্ত নয় বিএনপি: মোশাররফ হোসেন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আজ বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার টিকটক বিক্রির জন্য একটি প্রভাবশালী ও অর্থবিত্তশালী ক্রেতা গোষ্ঠী খুঁজে পেয়েছি: ট্রাম্প কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার হুমকি প্রত্যাহারের আহ্বান ইরানের নওগাঁয় ভরা মৌসুমেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৪০০ টাকা ইরানের কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত, নিখোঁজ বহু বন্দি

কলম্বো টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা, প্রথম ইনিংসে আড়াইশ’র আগেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

কলম্বো টেস্টের শুরুটা হতাশাজনক ছিল বাংলাদেশের জন্য। প্রথম দিনেই ৮ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় দিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি টাইগারদের ইনিংস। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) কলম্বোর ঐতিহ্যবাহী এসএসসি গ্রাউন্ডে ৭৯.৩ ওভারে থেমে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এদিন আর মাত্র ২৭ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে যায় দল। বল হাতে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন টেস্ট অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা। ৯.৩ ওভারে মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। আসিতা ফার্নান্দোও শিকার করেন ৩ উইকেট।

আগের দিন বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল ২২০ রান, হাতে ছিল ২ উইকেট। দিনের শুরুতেই টাইগারদের ধাক্কা খেতে হয় এবাদত হোসেনের বিদায়ে। দিন শুরুর তৃতীয় ওভারেই আসিতার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি, করেন মাত্র ৮ রান।

শেষ উইকেট জুটিতে তাইজুল আহমেদ ও নাহিদ রানা মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। এই জুটিতে আসে ১৮ রান। তবে রানা ৭ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে, ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও থামেন তাইজুল। দিনুশার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। ৬০ বল খেলে ৫ চারসহ তার সংগ্রহ ৩৩ রান।

এর আগে প্রথম দিনেই হতাশ করেন এনামুল হক বিজয়। ১০ বল খেলে দুইবার জীবন পেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। এর মাধ্যমে তিনি গড়েছেন লজ্জার এক রেকর্ড ১৪ ইনিংসের বেশি খেলা কোনো দলের শীর্ষ চার ব্যাটারের মধ্যে সবচেয়ে কম গড় তারই।

বাংলাদেশের ব্যাটারদের গল্প প্রায় একই সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে আসা। সাত ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, কিন্তু কেউই পঞ্চাশের দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে, ৯৩ বল খেলে ৭টি চারের সাহায্যে।

মুমিনুল হক করেন ২১ রান (৩৯ বল), মুশফিকুর রহিম ৩৫ (৭৫ বল), লিটন দাস ৩৪ (৫৬ বল), মেহেদি মিরাজ ৩১ (৪২ বল), নাঈম হাসান ২৫ (৫১ বল) এবং অধিনায়ক শান্ত আউট হন মাত্র ৮ রানে (৩১ বল)।

ব্যাটিং লাইনআপে এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতা আরও একবার প্রমাণ করল বিদেশের মাটিতে টেস্ট ব্যাটিং এখনো বড় দুর্বলতা বাংলাদেশের।

নিউজটি শেয়ার করুন

কলম্বো টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা, প্রথম ইনিংসে আড়াইশ’র আগেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০১:৩০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

কলম্বো টেস্টের শুরুটা হতাশাজনক ছিল বাংলাদেশের জন্য। প্রথম দিনেই ৮ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় দিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি টাইগারদের ইনিংস। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) কলম্বোর ঐতিহ্যবাহী এসএসসি গ্রাউন্ডে ৭৯.৩ ওভারে থেমে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এদিন আর মাত্র ২৭ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে যায় দল। বল হাতে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন টেস্ট অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা। ৯.৩ ওভারে মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। আসিতা ফার্নান্দোও শিকার করেন ৩ উইকেট।

আগের দিন বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল ২২০ রান, হাতে ছিল ২ উইকেট। দিনের শুরুতেই টাইগারদের ধাক্কা খেতে হয় এবাদত হোসেনের বিদায়ে। দিন শুরুর তৃতীয় ওভারেই আসিতার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি, করেন মাত্র ৮ রান।

শেষ উইকেট জুটিতে তাইজুল আহমেদ ও নাহিদ রানা মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। এই জুটিতে আসে ১৮ রান। তবে রানা ৭ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে, ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও থামেন তাইজুল। দিনুশার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। ৬০ বল খেলে ৫ চারসহ তার সংগ্রহ ৩৩ রান।

এর আগে প্রথম দিনেই হতাশ করেন এনামুল হক বিজয়। ১০ বল খেলে দুইবার জীবন পেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। এর মাধ্যমে তিনি গড়েছেন লজ্জার এক রেকর্ড ১৪ ইনিংসের বেশি খেলা কোনো দলের শীর্ষ চার ব্যাটারের মধ্যে সবচেয়ে কম গড় তারই।

বাংলাদেশের ব্যাটারদের গল্প প্রায় একই সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে আসা। সাত ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, কিন্তু কেউই পঞ্চাশের দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে, ৯৩ বল খেলে ৭টি চারের সাহায্যে।

মুমিনুল হক করেন ২১ রান (৩৯ বল), মুশফিকুর রহিম ৩৫ (৭৫ বল), লিটন দাস ৩৪ (৫৬ বল), মেহেদি মিরাজ ৩১ (৪২ বল), নাঈম হাসান ২৫ (৫১ বল) এবং অধিনায়ক শান্ত আউট হন মাত্র ৮ রানে (৩১ বল)।

ব্যাটিং লাইনআপে এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতা আরও একবার প্রমাণ করল বিদেশের মাটিতে টেস্ট ব্যাটিং এখনো বড় দুর্বলতা বাংলাদেশের।