ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্তে ৫ মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষার্থী নিহত জনসমর্থন থাকলে কেউ পালায় না: এটিএম আজাহারুল ইসলাম এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: ২৪২ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাবনা সাতক্ষীরায় জুয়ার আসরে পুলিশের হানা, গ্রেপ্তার ৯

ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে হারের বেদনায় বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি হামজা চৌধুরী ও শমিত শোমদের। আজ ঘরের মাঠে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

এই হার যেন ২০১৫ সালের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিল ঠিক একই মাঠে, একই ব্যবধানে পরাজয়। অথচ শেষ মুহূর্তে তারিক কাজীর হেড যদি এক ইঞ্চি নিচে লাগত, তাহলে হয়তো ফলটা বদলে যেতে পারত। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধে বাংলাদেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। ৯ মিনিটেই গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে দলটি। সিঙ্গাপুরের সং উইইয়াং বল পেয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করায় রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। এরপর রাকিব হোসেন ও অভিষেক হওয়া শমিত শোমের প্রচেষ্টা চোখে পড়লেও গোলের দেখা মেলেনি।

৩০ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভে দলকে বাঁচান গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ফাহমিদুলের সামনে ছিল সুবর্ণ সুযোগ, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে মিতুল পোস্ট ছেড়ে যাওয়ায় সুযোগ নেয় সিঙ্গাপুর। উইইয়াংয়ের শটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু ৫৯ মিনিটে ফের গোল হজম করে। দূরপাল্লার শট ঠেকালেও ফিরতি বলে গোল করেন ইখসান ফান্ডি। এরপরও হাল ছাড়েনি স্বাগতিকরা। ৬৭ মিনিটে হামজার পাস থেকে গোল করেন রাকিব হোসেন। যদিও তার শট মাহবুদের হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়।

শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে ফাহিম ও হামজা দুটি সুবর্ণ সুযোগ হারান। এমনকি একটি পেনাল্টি পাওয়া নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়, তবে রেফারি কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত হারের ব্যবধান কমাতে মরিয়া ছিল স্বাগতিকরা।

অবশেষে ভালো খেলার পরও কপালে জোটে শুধু হারের হতাশা। গোলপোস্ট, ভাগ্য এবং সুযোগ মিস সব মিলিয়ে আজ ঢাকায় আরেকটি হৃদয়বিদারক হার দেখল বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে হারের বেদনায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি হামজা চৌধুরী ও শমিত শোমদের। আজ ঘরের মাঠে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

এই হার যেন ২০১৫ সালের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিল ঠিক একই মাঠে, একই ব্যবধানে পরাজয়। অথচ শেষ মুহূর্তে তারিক কাজীর হেড যদি এক ইঞ্চি নিচে লাগত, তাহলে হয়তো ফলটা বদলে যেতে পারত। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধে বাংলাদেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। ৯ মিনিটেই গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে দলটি। সিঙ্গাপুরের সং উইইয়াং বল পেয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করায় রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। এরপর রাকিব হোসেন ও অভিষেক হওয়া শমিত শোমের প্রচেষ্টা চোখে পড়লেও গোলের দেখা মেলেনি।

৩০ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভে দলকে বাঁচান গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ফাহমিদুলের সামনে ছিল সুবর্ণ সুযোগ, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে মিতুল পোস্ট ছেড়ে যাওয়ায় সুযোগ নেয় সিঙ্গাপুর। উইইয়াংয়ের শটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু ৫৯ মিনিটে ফের গোল হজম করে। দূরপাল্লার শট ঠেকালেও ফিরতি বলে গোল করেন ইখসান ফান্ডি। এরপরও হাল ছাড়েনি স্বাগতিকরা। ৬৭ মিনিটে হামজার পাস থেকে গোল করেন রাকিব হোসেন। যদিও তার শট মাহবুদের হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়।

শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে ফাহিম ও হামজা দুটি সুবর্ণ সুযোগ হারান। এমনকি একটি পেনাল্টি পাওয়া নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়, তবে রেফারি কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত হারের ব্যবধান কমাতে মরিয়া ছিল স্বাগতিকরা।

অবশেষে ভালো খেলার পরও কপালে জোটে শুধু হারের হতাশা। গোলপোস্ট, ভাগ্য এবং সুযোগ মিস সব মিলিয়ে আজ ঢাকায় আরেকটি হৃদয়বিদারক হার দেখল বাংলাদেশ।