ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে ১২ সেনা নিহত, আহত ৬০’র বেশি ২ জুন ঘোষণা আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট: গুরুত্ব পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি ও করনীতি

টি-২০ সিরিজ হাতছাড়া: লাহোরে আবারো ব্যাটিং ব্যর্থ বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হার মেনেছে বাংলাদেশ। ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৪ রানে থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ফলে ৫৭ রানে হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খোয়ায় ফিল সিমন্সের দল।

টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও স্বাগতিকরা ২০১ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায়, ৬ উইকেট হারিয়ে। যদিও শুরুটা ভালোই করেছিল টাইগাররা। দলীয় ১২ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব। ব্যক্তিগত ৪ রানে সতীর্থ শাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কাটা পড়েন তিনি।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক ১০৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের ভিত গড়ে দেন শাহিবজাদা ও মোহাম্মদ হারিস। হারিস আউট হন ৪১ রানে, তবে শাহিবজাদা খেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটির ইনিংস। প্রায় ছয় মাস পর জাতীয় দলে ফিরেই পিএসএলের ছন্দে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৪১ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। তিনবার জীবন পেয়ে ইনিংসটি খেলেন ১৮০.৪৮ স্ট্রাইকরেটে।

শেষদিকে হাসান নওয়াজের ২৬ বলে ৫১ রানের ইনিংসে দুইশ পেরোয় পাকিস্তান। আগের ম্যাচে ৪৪ রানে থেমে যাওয়া এই তরুণ এবার ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব নেন দুটি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ তামিম। ১৯ বলে ৩৩ রানে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ঝড় তোলেন তিনি। তবে তার আউটের পর থেকেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। ৫৬ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। লিটন দাস (৬), হৃদয় (৫), জাকের আলী (০), শামীম পাটোয়ারি (৭) ও রিশাদ হোসেন (১) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান।

লিটন ও হৃদয়ের মাঝে রান নেওয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির পর অধিনায়কের অস্থিরতা আরও স্পষ্ট হয়, পরের বলেই বাজে শট খেলেন তিনি। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

শেষদিকে কিছুটা লড়াই করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম সাকিব। ইনজুরির কারণে শেখ মাহেদীর পরিবর্তে দলে আসা মিরাজ করেন ১৭ বলে ২৩ রান। আর তানজিম খেলেন দারুণ এক ইনিংস—৩১ বলে ৫০ রান, যাতে ছিল ৫টি ছক্কা ও একটি চার।

তবে শরিফুল ইনজুরির কারণে তিন বল করে মাঠ ছাড়লে শেষ ওভারে গড়ায়নি বাংলাদেশ। এক ওভার বাকি থাকতেই ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।

এই হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে বসেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি এখন কেবলই সম্মান রক্ষার লড়াই।

নিউজটি শেয়ার করুন

টি-২০ সিরিজ হাতছাড়া: লাহোরে আবারো ব্যাটিং ব্যর্থ বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হার মেনেছে বাংলাদেশ। ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৪ রানে থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ফলে ৫৭ রানে হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খোয়ায় ফিল সিমন্সের দল।

টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও স্বাগতিকরা ২০১ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায়, ৬ উইকেট হারিয়ে। যদিও শুরুটা ভালোই করেছিল টাইগাররা। দলীয় ১২ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব। ব্যক্তিগত ৪ রানে সতীর্থ শাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কাটা পড়েন তিনি।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক ১০৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের ভিত গড়ে দেন শাহিবজাদা ও মোহাম্মদ হারিস। হারিস আউট হন ৪১ রানে, তবে শাহিবজাদা খেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটির ইনিংস। প্রায় ছয় মাস পর জাতীয় দলে ফিরেই পিএসএলের ছন্দে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৪১ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। তিনবার জীবন পেয়ে ইনিংসটি খেলেন ১৮০.৪৮ স্ট্রাইকরেটে।

শেষদিকে হাসান নওয়াজের ২৬ বলে ৫১ রানের ইনিংসে দুইশ পেরোয় পাকিস্তান। আগের ম্যাচে ৪৪ রানে থেমে যাওয়া এই তরুণ এবার ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব নেন দুটি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ তামিম। ১৯ বলে ৩৩ রানে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ঝড় তোলেন তিনি। তবে তার আউটের পর থেকেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। ৫৬ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। লিটন দাস (৬), হৃদয় (৫), জাকের আলী (০), শামীম পাটোয়ারি (৭) ও রিশাদ হোসেন (১) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান।

লিটন ও হৃদয়ের মাঝে রান নেওয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির পর অধিনায়কের অস্থিরতা আরও স্পষ্ট হয়, পরের বলেই বাজে শট খেলেন তিনি। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

শেষদিকে কিছুটা লড়াই করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম সাকিব। ইনজুরির কারণে শেখ মাহেদীর পরিবর্তে দলে আসা মিরাজ করেন ১৭ বলে ২৩ রান। আর তানজিম খেলেন দারুণ এক ইনিংস—৩১ বলে ৫০ রান, যাতে ছিল ৫টি ছক্কা ও একটি চার।

তবে শরিফুল ইনজুরির কারণে তিন বল করে মাঠ ছাড়লে শেষ ওভারে গড়ায়নি বাংলাদেশ। এক ওভার বাকি থাকতেই ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।

এই হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে বসেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি এখন কেবলই সম্মান রক্ষার লড়াই।