দুর্বার রাজশাহী ২৮ রানে জয়ী
রায়ান বার্ল তখন মাত্রই ক্রিজে গিয়েছেন। চার উইকেট হারিয়ে রাজশাহী তখন সঙ্কটে। মোহাম্মাদ নাওয়াজের বল উড়িয়ে মারলেন বার্ল। হাসান মাহমুদ ডাইভ দিয়ে বল মুঠোয় নিলেও পরে গেল ফসকে। গড়িয়ে বল পেরিয়ে গেল সীমানা। ম্যাচটিও যেন তখনই বেরিয়ে গেল খুলনার কাছ থেকে।
দুই রানে আউট হওয়ার বদলে জীবন পেয়ে বার্ল খেললেন কার্যকর এক ইনিংস। ইয়াসির আলির সঙ্গে তার আগ্রাসী জুটিই অনেকটা গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। বার্ল পরে বল হাতে রাখলেন অবদান। টানা দুই হারের পর রাজশাহী পেল জয়ের দেখা।
টানা দুই জয়ে বিপিএল শুরু করা খুলনা টাইগার্স এই ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল এক সপ্তাহের বিরতির পর। এই সময়টায় তাদের মোমেন্টামও যেন গেল হারিয়ে। দুর্বার রাজশাহী ম্যাচ জিতে নিল ২৮ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২০ ওভারে রাজশাহী তোলে ১৭৮ রান। খুলনার ইনিংস শেষ হয় ১৫০ রানে।
২৯ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা বার্ল।
প্রথম ওভারে নাসুম আহমেদের বলে মোহাম্মদ হারিসের চার ও ছক্কায় শুরু হয় ম্যাচ। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান এগোতে থাকেন আগ্রাসনের পথ ধরেই। তবে সেই পথে ছুটতে পারেননি জিসান আলম।
৫ ওভারে ৪২ রান তোলে রাজশাহী। হারিসের রান তখন ১৮ বলে ২৬, জিসানের ১২ বলে ১২।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নাসুমকে স্লগ সু্ইপ খেলার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে যান হারিস। আসরের পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে দুই অঙ্ক ছুঁলেন তিনি, কিন্তু সর্বোচ্চ ইনিংস ৩২ রানের।
দুর্দান্ত জুটি
বিপদের মধ্যে দারুণ প্রতি আক্রমণে রাজশাহীকে এগিয়ে নেন ইয়াসির আলি ও রায়ান বার্ল। ছন্দে থাকা দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন ৫১ বলে।
ইয়াসির ক্রিজে গিয়েই আবু হায়দারের বলে টানা দুটি বাউন্ডারিতে শুরু করেন অভিযান। বার্ল অবশ্য রক্ষা পান ২ রানেই। নাওয়াজের বলে সীমানায় ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নিতে পারেননি হাসান মাহমুদ। বল তার হাতে লেগে গড়িয়ে পেরিয়ে যায় সীমানা। এক বল পরই বিশাল ছক্কায় গ্রীন গ্যালারিতে বল আছড়ে ফেলেন জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার।
দুজনই পরে চড়াও হন মিরাজের ওপরে। প্রথম ওভারে এক রান দেওয়া খুলনা অধিনায়কের পরের দুই ওভার থেকে দুজনে রান নেন ২৫।
শেষের আগের ওভারে ভাঙে এই জুটি। আবু হায়দারের দারুণ ইয়র্কারে ইয়াসির বোল্ড হন ২৫ বলে ৪১ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দুর্বার রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৭৮/৫ (হারিস ২৭, জিসান ২৩, এনামুল ৭, মেহরব ৫, ইয়াসির ৪১, বার্ল ৪৮*, আকবর ২১*; নাসুম ৩-০-২০-২, হাসান ৪-০-৩৩-০, ইরশাদ ৪-০-৩৮-০, নাওয়াজ ৩-০-২৭-১, মিরাজ ৩-০-২৬-১, আবু হায়দার ৩-০-৩৩-১।
খুলনা টাইগার্স: ১৯.৩ ওভারে ১৫০ (বসিস্টো ৬, নাঈম ২৪, মিরাজ ১, আফিফ ৩৩, মাহিদুল ১৮, ইমরুল ১৭, আবু হায়দার ৪, নাওয়াজ ৯, নাসুম ১৮, হাসান ৩, ইরশাদ ৫*; জিসান ৪-০-১৮-১, তাসকিন ৩.৩-০-৩০-২, মেহরব ৪-০-২৫-১, সোহাগ ৩-০-২৭-২, মৃত্যুঞ্জয় ২-০-৩১-১, বার্ল ২-০-১৩-২, শফিউল ১-০-৩-১)।