২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন ভিনিসিয়ুস, চলছে ফিফার তদন্ত

- আপডেট সময় ১০:৪৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
- / 37
রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তরুণ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবার মাঠের বাইরে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। পেশাদার ফুটবলার হয়েও ক্লাব মালিকানায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ফিফার এথিক্স কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েছে।
ইতালিয়ান সাংবাদিক জিয়ানলুকা দি মার্জিওর তথ্য অনুযায়ী, স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা জানায়, অভিযোগকারী পক্ষ ভিনিসিয়ুসের ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে।
ব্রাজিলের ‘তিবেরিস হোল্ডিং দো ব্রাজিল’ নামের একটি কোম্পানি গত ৭ এপ্রিল এই অভিযোগ দায়ের করে। তাদের দাবি, সক্রিয় পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ভিনিসিয়ুস কোনো ক্লাবের মালিক হতে পারেন না, এটি ফিফার নীতিমালার লঙ্ঘন। বিষয়টি স্বার্থের সংঘাত তৈরি করে এবং ফুটবলে ন্যায্য প্রতিযোগিতার নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
মূল অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘অল আজেন্সিয়ামেন্তো এস্পোর্তিভো’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটির নেতৃত্বে রয়েছেন ভিনিসিয়ুসের বাবা ও তার এজেন্ট থাসসিলো সোয়ারেস। অভিযোগকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই ভিনিসিয়ুস ব্রাজিলের ক্লাব ‘অ্যাথলেটিক ক্লাব দে সাও জোয়াও দেল রেই’-এর অংশীদার হয়েছেন। উল্লেখ্য, ক্লাবটি সম্প্রতি ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগের সিরি বি তে খেলার সুযোগ পেয়েছে।
তিবেরিসের দাবি, তাদের ১৬.৫ শতাংশ শেয়ার থাকা সত্ত্বেও ক্লাবের শেয়ার বিক্রির সময় তাদের অনুমতি নেয়া হয়নি। বর্তমানে সাও পাওলোর একটি আদালত শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে আইনগত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে তিবেরিসের অভিযোগ, ভিনিসিয়ুসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ক্লাবের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার শুরু হয়েছে।
এছাড়া আরও অভিযোগ উঠেছে ভিনিসিয়ুসের পর্তুগালের ক্লাব ‘আলভেরসা’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়েও। সাও জোয়াও দেল রেই ক্লাব থেকে রাফায়েল কনসেইসাও নামের একজন খেলোয়াড়কে আলভেরসাতে ধারে পাঠানো হয়েছে, যা নিয়ে অভিযোগকারী পক্ষ প্রশ্ন তুলেছে।
তিবেরিস ফিফার এথিক্স কোডের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং স্পেনের সংশ্লিষ্ট আইনের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেছে। এই ধরনের নৈতিক লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা, শেয়ার বিক্রি বাধ্যতামূলক করা বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার মতো শাস্তি হতে পারে।
ফিফা ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে কী শাস্তি অপেক্ষা করছে তা ফিফার সিদ্ধান্তেই নির্ভর করবে। তবে এখনই বলা যায়, এই ঘটনা রিয়াল মাদ্রিদের এই উঠতি তারকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।