রূপকথার রাতে রিয়ালকে উড়িয়ে সেমিতে এক পা আর্সেনালের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক জাদুকরী রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ঘটলো অবিশ্বাস্য এক কাহিনি। ইউরোপের পরাক্রমশালী রিয়াল মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে রাখলো ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল। আর এই জয়ের মঞ্চে উজ্জ্বল নায়ক হয়ে উঠলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইস।
ম্যাচ শুরুর আগেই উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতার হুংকার “তোমাদের গলায় যেন আগুন থাকে!” সেই আগুন যেন মাঠেও ছড়িয়ে পড়ে প্রথম বাঁশি থেকেই। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে রিয়ালের রক্ষণভাগকে চাপে রাখে লন্ডনের ক্লাবটি।
প্রথমার্ধে গোলের দেখা না মিললেও রিয়ালের কোনো কার্যকর জবাব ছিল না। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একটি চেষ্টা পোস্টের বাইরে চলে যায় যেটুকুই ছিল তাদের প্রথমার্ধের প্রাপ্তি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নামে এক ভিন্ন আর্সেনাল। ৫৮তম মিনিটে রাইসের বাঁকানো ফ্রি-কিক যেন আকাশ থেকে ছুটে আসা বিদ্যুৎ। রিয়ালের দেওয়াল কিংবা কোর্তোয়া কেউই কিছু করতে পারেননি গোলপোস্টের জালে কেবল ধাক্কা খাওয়া বল আর গর্জে ওঠা গ্যালারি।
এর ঠিক বারো মিনিট পর আবারও সেই রাইস, আবারও এক নিখুঁত ফ্রি-কিক। এবার বল জায়গা খুঁজে নেয় বারপোস্টের ডান কোণে। এক মুহূর্তে স্টেডিয়াম জুড়ে বিস্ময় আর উল্লাসের ঝড়।
৭৫তম মিনিটে মিকেল মেরিনোর দুর্দান্ত শটে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-০। হতচকিত রিয়াল কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ম্যাচের শেষ দিকে হতাশা আরো গাঢ় হয় ক্যামাভিঙ্গার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায়।
২০০৮-০৯ মৌসুমের পর আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দোরগোড়ায় আর্সেনাল। যদিও ফিরতি লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাদের অপেক্ষায় আরও এক কঠিন পরীক্ষা। তবে এই রূপকথার রাত লন্ডনের ক্লাবটির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।