০৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

জাহাঙ্গীরনগরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮৯ নেতা-কর্মী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 63

ছবি: সংগৃহীত

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে যাঁদের শিক্ষাজীবন শেষ, তাঁদের সনদ স্থগিত করা হবে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের জন্য একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা শেষে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

উপাচার্য বলেন, ‘১৫ জুলাইয়ের হামলার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮৯ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যাঁরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাঁদের ফলাফল স্থগিত থাকবে। যাঁরা ছাত্রত্ব শেষ করেছেন, তাঁদের সনদ আপাতত দেওয়া হবে না।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে আন্দোলনকারীরা স্বাগত জানালেও তাঁরা হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং বিচার দাবিতে অনড় রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাইয়ের রাতকে ‘কালরাত’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা দেশি অস্ত্র ও পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাত ১২টার দিকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা ফের হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে স্থায়ী শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের একাংশ বলছে, ‘শুধু সাময়িক বহিষ্কার যথেষ্ট নয়, হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনা উচিত।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও শিক্ষার্থীরা স্থায়ী শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাহাঙ্গীরনগরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮৯ নেতা-কর্মী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় ১০:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে যাঁদের শিক্ষাজীবন শেষ, তাঁদের সনদ স্থগিত করা হবে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের জন্য একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা শেষে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

উপাচার্য বলেন, ‘১৫ জুলাইয়ের হামলার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮৯ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যাঁরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাঁদের ফলাফল স্থগিত থাকবে। যাঁরা ছাত্রত্ব শেষ করেছেন, তাঁদের সনদ আপাতত দেওয়া হবে না।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে আন্দোলনকারীরা স্বাগত জানালেও তাঁরা হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং বিচার দাবিতে অনড় রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাইয়ের রাতকে ‘কালরাত’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা দেশি অস্ত্র ও পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাত ১২টার দিকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা ফের হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে স্থায়ী শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের একাংশ বলছে, ‘শুধু সাময়িক বহিষ্কার যথেষ্ট নয়, হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনা উচিত।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও শিক্ষার্থীরা স্থায়ী শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।