ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের গণঅবস্থান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 56

ছবি সংগৃহীত

 

 

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে দলটি গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের আমির শফিকুর রহমান। তিনি দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং আজহারের মুক্তির জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগের তাগিদ দেন।

জামায়াতের দাবি, এটিএম আজহারুল ইসলাম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি। পরওয়ার বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অনেক রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি পেলেও আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে, যা বিস্ময়কর।”

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৯ সালে আপিল বিভাগও রায় বহাল রাখে। আদালতের রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের রংপুর জেলা সভাপতি ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

আজহারুল ইসলামের রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে করা হয়। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ৯ জানুয়ারি সেই আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালত প্রথমে ২৩ জানুয়ারি এবং পরে ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখেও শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জামায়াত মনে করে, নতুন সরকারের উচিত আজহারের মুক্তি নিশ্চিত করা। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এখন দেখার বিষয়, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী আসে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এর কী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের গণঅবস্থান

আপডেট সময় ১০:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

 

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে দলটি গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের আমির শফিকুর রহমান। তিনি দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং আজহারের মুক্তির জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগের তাগিদ দেন।

জামায়াতের দাবি, এটিএম আজহারুল ইসলাম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি। পরওয়ার বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অনেক রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি পেলেও আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে, যা বিস্ময়কর।”

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৯ সালে আপিল বিভাগও রায় বহাল রাখে। আদালতের রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের রংপুর জেলা সভাপতি ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

আজহারুল ইসলামের রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে করা হয়। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ৯ জানুয়ারি সেই আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালত প্রথমে ২৩ জানুয়ারি এবং পরে ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখেও শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জামায়াত মনে করে, নতুন সরকারের উচিত আজহারের মুক্তি নিশ্চিত করা। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এখন দেখার বিষয়, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী আসে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এর কী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।