দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: অভিযোগ মির্জা আব্বাসের

- আপডেট সময় ১০:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 6
দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার দাবি, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং এটি কোনো দেশপ্রেমিক সরকার নয়। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, “দেশে এখন বিভিন্ন রহস্যজনক মিশনের কার্যক্রম চলছে। সবকিছুই সরকারের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। সরকার কোনো একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ বাস্তবায়নে ব্যস্ত, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।”
তিনি বলেন, “আজ যে নাসির উদ্দীন পিন্টুকে আমরা স্মরণ করছি, এমন হাজারো আত্মত্যাগী নেতাকর্মীর রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আজকের বিএনপি দাঁড়িয়ে আছে।”
প্রশাসনে বিএনপি সমর্থকদের নিধন করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতপন্থিদের বসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তার ভাষায়, “অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে এখন বিদেশি উপদেষ্টারা বসে আছেন, যারা দেশের নাগরিকও নন। মনে হচ্ছে, দেশে আবার ঔপনিবেশিক শাসন কায়েম হয়েছে।”
‘মানবিক করিডর’ ইস্যুতে বিএনপি ছাড়া কেউ কথা বলছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জামায়াত কিংবা এনসিপি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব। সেন্টমার্টিন বা সাজেক নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই। অথচ বিশ্বের কোথাও ‘মানবিক করিডর’ নামে কিছু নেই। এটি সম্পূর্ণ মনগড়া ধারণা।”
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারব না? করিডর দেওয়া হবে কেন? কার স্বার্থে? জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো করিডর দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।”
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আড়ালে নতুন নাটক সাজানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশে ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট’ নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সরকার বলছে কিছু জানে না। তাহলে তারা জানে কী? আসলে আওয়ামী লীগ নেতাদের গোপনভাবে দেশ ছাড়ানোর প্রক্রিয়া আড়াল করতেই শাহবাগে নতুন নাটক সাজানো হয়েছে।”
ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় এনসিপির বিক্ষোভের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, “সরকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। বিএনপিকে দমন করাই যেন তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।”
এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যারা সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদ জানান।