ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

- আপডেট সময় ০৬:০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / 1
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দেশের সকল অংশীজনের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নেই। কমিশন যাদেরকে আলোচনায় আহ্বান করেছে, তারা দেশের জনগণের সার্বিক আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক আলোচনার বিরতিতে এসব কথা বলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশন কোন পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকছে, তা স্পষ্ট নয়। যাদের ডাকা হয়েছে, তারা শতভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। যদি তারা সত্যিই জন-আকাঙ্ক্ষা বহন করত, তাহলে ৫৪ দলের সম্মিলিত আন্দোলন এত সহজে ভেস্তে যেত না।”
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে এনসিপির এই নেতা বলেন, “তখন মূলত তিনটি স্টেকহোল্ডার ছিল রাজনৈতিক দলসমূহ, জনতা এবং শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই আলোচনায় কেবল রাজনৈতিক দলগুলোকেই ডাকা হয়েছে, জনতা এবং পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব নেই। অথচ তারা অভ্যুত্থানে সমানভাবে অংশ নিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে, তাদের অনেকেই বড় কোনো রাজনৈতিক দলের সুপারিশেই নির্বাচিত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তাদের বক্তব্যগুলোও প্রায়শই কোনো একটি বড় দলের পক্ষেই যায়। ভিন্নমত এলেই সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা হয়।”
আলোচনার সময় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক। তবে এ বিষয়ে এখনো আলোচনা চলমান রয়েছে, তাই সংখ্যা ও পদ্ধতির বিষয়ে আমরা উন্মুক্ত আছি।”
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়েও বক্তব্য দেন তিনি। “আমরা এই অনুচ্ছেদ পুরোপুরি বাতিলের পক্ষে ছিলাম,” বলেন আরিফুল। “তবে ঐকমত্যের স্বার্থে আমরা মত দিয়েছি যে অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারবেন।”
আলোচনার শেষে এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কারে বিশ্বাস করি। তবে সেই সংস্কার যেন অন্তঃসারশূন্য না হয় এবং সকল অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়—এটাই আমাদের প্রধান দাবি।”