০৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 50

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভিয়েতনামে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম-এর কার্যক্রম বন্ধে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি সূত্র বলছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করায় এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২৩ মে শুক্রবার সরকারের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি চিঠির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের সতর্ক করে জানায়, টেলিগ্রামে ‘আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট লক্ষণ’ রয়েছে এবং এই অ্যাপের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ২ জুনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সে সম্পর্কিত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

সরকারি প্রতিবেদনে দেশটির পুলিশ বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “বর্তমানে ভিয়েতনামে টেলিগ্রামের সক্রিয় চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় ৯,৬০০টি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চ্যানেলেই ‘বিষাক্ত ও ক্ষতিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে।” এ ছাড়াও, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও চ্যানেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী নথি প্রচার, প্রতিক্রিয়াশীল তৎপরতা, এমনকি মাদক পাচার ও ব্যক্তিগত তথ্য বেচাকেনার মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম সরকার আরও জানিয়েছে, টেলিগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টেলিগ্রামের একজন প্রতিনিধি বলেন, “ভিয়েতনাম সরকারের এমন পদক্ষেপে আমরা বিস্মিত।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত ভিয়েতনামে ডিজিটাল স্বাধীনতা ও যোগাযোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না—সেটি নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার

আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

 

ভিয়েতনামে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম-এর কার্যক্রম বন্ধে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি সূত্র বলছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করায় এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২৩ মে শুক্রবার সরকারের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি চিঠির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের সতর্ক করে জানায়, টেলিগ্রামে ‘আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট লক্ষণ’ রয়েছে এবং এই অ্যাপের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ২ জুনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সে সম্পর্কিত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

সরকারি প্রতিবেদনে দেশটির পুলিশ বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “বর্তমানে ভিয়েতনামে টেলিগ্রামের সক্রিয় চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় ৯,৬০০টি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চ্যানেলেই ‘বিষাক্ত ও ক্ষতিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে।” এ ছাড়াও, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও চ্যানেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী নথি প্রচার, প্রতিক্রিয়াশীল তৎপরতা, এমনকি মাদক পাচার ও ব্যক্তিগত তথ্য বেচাকেনার মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম সরকার আরও জানিয়েছে, টেলিগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টেলিগ্রামের একজন প্রতিনিধি বলেন, “ভিয়েতনাম সরকারের এমন পদক্ষেপে আমরা বিস্মিত।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত ভিয়েতনামে ডিজিটাল স্বাধীনতা ও যোগাযোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না—সেটি নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সূত্র: আল জাজিরা