আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন, নিষিদ্ধ করা উচিত”: হাসনাত আবদুল্লাহ

- আপডেট সময় ০২:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / 21
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে তা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠনকে নিষিদ্ধের মধ্য দিয়েই দেশের প্রকৃত সংস্কার শুরু হবে।”
শনিবারের মহাসমাবেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো, যতক্ষণ না হাসিনার বিচার এবং ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এই সরকারের পুনর্বাসনের সময় শেষ। ৫ আগস্ট সারা দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ‘রেড কার্ড’ দেখিয়েছে। এই ভূখণ্ডে তাদের আর জায়গা নেই।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যেই আওয়ামী লীগ আমাদের দাড়ি-টুপি পরা ভাইদের বায়তুল মোকাররম থেকে টেনে বের করে রাস্তায় ফেলেছিল, সেই আওয়ামী লীগকে এই মাটিতে পুনর্বাসন হতে দেওয়া হবে না।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ড. ইউনূস ভুলে যাবেন না, আমরা আপনাকে ক্ষমতায় এনেছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি করবে না এই সিদ্ধান্ত তার নয়, আমাদের। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ‘মারা গেছে’, আর তার জানাজা হয়েছে দিল্লিতে।”
তিনি বলেন, “আমার ভাইদের রক্তের ওপর দিয়ে পাড়ি দিয়ে আওয়ামী লীগ আর এ দেশে আসতে পারবে না। এই সংস্কার হবে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংস্কার।”
১৯৭৫ সালের বাকশাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৭১-পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। সেই সময় ৩০ হাজার জাসদ কর্মী হত্যা করে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল। তাদের লুটপাটের ফলেই ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে প্রাণ হারায় ১৫ লক্ষ মানুষ।”
নারী সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা বলেন, “নারী সংস্কার নিয়ে হেফাজতের যে উদ্বেগ, তা ড. ইউনূসের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। অপ্রয়োজনীয় সংস্কার বাদ দিয়ে নারীদের সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষা হয় এমন সংস্কারেই গুরুত্ব দিতে হবে।”
এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে উসকানিমূলক বলে মনে করছেন। তবে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হাজারো মানুষের মাঝে বক্তব্যটি ছিল বিশেষ উদ্দীপনার উৎস।