নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন নাহিদ ইসলাম

- আপডেট সময় ০৩:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / 28
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছাড়ার পরও শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। তবে এবার নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তারা চায় না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিক।
নাহিদ ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখতে চান না তারা। তাঁর ভাষায়, “আওয়ামী লীগের ভেতরে যারা অন্যায় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।” সোমবার (১৭ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা পাওয়া এবং বাইরে থেকে সেটি দেখা একেবারেই ভিন্ন বিষয়। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাংলাদেশকে এক সংকটকালীন সময় পার হতে দেখেছেন। তিনি জানান, পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তার মতে, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা বড় চ্যালেঞ্জ, তবে তিনি এর জন্য প্রস্তুত।
জাতীয় নাগরিক পার্টি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, এনসিপি একটি মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দল এবং তারা এই আদর্শকে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। নতুন প্রজন্ম এবং দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতির বাইরে থাকা শ্রেণির জন্য তারা একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চান। তাদের মূল লক্ষ্য হলো ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করা এবং নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মাধ্যমে ক্ষমতার কাঠামোয় পরিবর্তন আনা। গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নির্বাচন নয়। আমরা সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার চাই, যাতে কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন আবার ফিরে আসতে না পারে। আমাদের মূল লক্ষ্য পূর্ববর্তী সরকারের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা এবং গণপরিষদ গঠন করা।”
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং জামায়াতে ইসলামী সম্পূর্ণ ভিন্ন রাজনৈতিক দল। আমাদের আদর্শগত পার্থক্য বিশাল, এবং আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংযোগ নেই।”
এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা বিশ্লেষণ সামনে আসছে।