ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে আজ জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন: লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ ৮৫ হাজার শিশু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৭:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / 31

ছবি: সংগৃহীত

 

চট্টগ্রামে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে ‘জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন’। এ কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় পাঁচ লাখ ৬০ হাজার এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আট লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে এ ক্যাপসুল দেওয়া হবে।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ও জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চসিকের উদ্যোগে শতভাগ শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার চসিক ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সাতটি ইপিআই জোনে এক হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের এক লাখ ইউনিটের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সীদের দুই লাখ ইউনিটের লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের জন্য চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

চসিক মেয়র অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ ও অপুষ্টি থেকে সুরক্ষিত রাখতে এই ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাবা-মায়েদের অবশ্যই এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’

অন্যদিকে, জেলার ১৫টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের ৬০০টি ওয়ার্ডে আট লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন করতে ১৭টি স্থায়ী, ১৫টি ভ্রাম্যমাণ এবং চার হাজার ৮০০টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত ১ জুন অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হার ছিল ৯৭ শতাংশ।

ভিটামিন-এ ক্যাপসুল শিশুদের অপুষ্টিজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের এ কর্মসূচির প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে আজ জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন: লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ ৮৫ হাজার শিশু

আপডেট সময় ১১:১৭:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

 

চট্টগ্রামে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে ‘জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন’। এ কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় পাঁচ লাখ ৬০ হাজার এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আট লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে এ ক্যাপসুল দেওয়া হবে।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ও জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চসিকের উদ্যোগে শতভাগ শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার চসিক ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সাতটি ইপিআই জোনে এক হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের এক লাখ ইউনিটের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সীদের দুই লাখ ইউনিটের লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের জন্য চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

চসিক মেয়র অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ ও অপুষ্টি থেকে সুরক্ষিত রাখতে এই ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাবা-মায়েদের অবশ্যই এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’

অন্যদিকে, জেলার ১৫টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের ৬০০টি ওয়ার্ডে আট লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন করতে ১৭টি স্থায়ী, ১৫টি ভ্রাম্যমাণ এবং চার হাজার ৮০০টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত ১ জুন অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হার ছিল ৯৭ শতাংশ।

ভিটামিন-এ ক্যাপসুল শিশুদের অপুষ্টিজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের এ কর্মসূচির প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।