সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ল
সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১৫ মার্চ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা বলবৎ থাকবে। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু-এর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী, সারা দেশে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নির্ধারিত কর্মকর্তাদের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা, যাঁরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্ট গার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত রয়েছেন, তাঁরা ফৌজদারি কার্যবিধির বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তাঁদের কার্যক্রম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার আওতায় পরিচালিত হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো সারা দেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য ৬০ দিনের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিল। এরপর গত ১৫ নভেম্বর এবং ১২ জানুয়ারি দুই দফায় এই ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস করে বাড়ানো হয়।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং অপরাধ দমন কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষত নির্বাচনী সময়সহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।