ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাত দিনের মধ্যে মাগুরায় ধর্ষণের বিচার কাজ শুরু: আইন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল রাশিয়ায়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার সূচনা বলিভিয়ার পোটোসি অঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত, আহত ২০ জন নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যু, বিচার দাবি জামায়াত আমিরের আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক: হাসনাত-সারজিস মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধের সব দায় নিলেন দুতার্তে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ল শনি গ্রহের চারপাশে নতুন ১২৮টি চাঁদের সন্ধান, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান আইজিপির আহ্বান: পুলিশের ওপর আক্রমণ না করে সহযোগিতা করুন

কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূসের সফর: রোহিঙ্গাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক ধরনের আনন্দের জোয়ার বইছে। তারা একসাথে ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সাথে, আর এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নতুন করে সেজেছে আশ্রয়শিবিরের পরিদর্শন স্থানগুলো, মেরামত করা হয়েছে রাস্তা-ঘাট, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব এবং ড. ইউনূস উখিয়ার বর্ধিত ক্যাম্প ২০ পরিদর্শন করবেন, যেখানে রোহিঙ্গারা ত্রিপল পেতে বসে ইফতার করবেন। একই সঙ্গে তারা রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক ও নারীদের সাথে বৈঠক করবেন। ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে নতুন ইট বসানো হয়েছে এবং পরিদর্শনের স্থানগুলো সাজানো হয়েছে।

এছাড়া, জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজারের ১৮ নম্বর ক্যাম্পের লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। প্রতিটি স্থানে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা উচ্ছ্বসিত। উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ জোহার বলেন, “ড. ইউনূস সাহেব আমাদের দেখতে আসবেন, এটা শুনে অনেক আনন্দিত।” আরেক যুবক আব্দুল হামিদ জানান, “আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, আমাদের দুঃখ-কষ্ট জানাবো।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নিরাপত্তার জন্য অনেক স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নিরাপত্তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।”

কক্সবাজারের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের পাশে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দাঁড়িয়েছে এবং বাংলাদেশ তাদের পাশে আছে।”

সরকারি তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। তবে, মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। এই সফরের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের অবস্থা এখনো সমাধান হওয়া বাকি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূসের সফর: রোহিঙ্গাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক ধরনের আনন্দের জোয়ার বইছে। তারা একসাথে ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সাথে, আর এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নতুন করে সেজেছে আশ্রয়শিবিরের পরিদর্শন স্থানগুলো, মেরামত করা হয়েছে রাস্তা-ঘাট, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব এবং ড. ইউনূস উখিয়ার বর্ধিত ক্যাম্প ২০ পরিদর্শন করবেন, যেখানে রোহিঙ্গারা ত্রিপল পেতে বসে ইফতার করবেন। একই সঙ্গে তারা রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক ও নারীদের সাথে বৈঠক করবেন। ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে নতুন ইট বসানো হয়েছে এবং পরিদর্শনের স্থানগুলো সাজানো হয়েছে।

এছাড়া, জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজারের ১৮ নম্বর ক্যাম্পের লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। প্রতিটি স্থানে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা উচ্ছ্বসিত। উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ জোহার বলেন, “ড. ইউনূস সাহেব আমাদের দেখতে আসবেন, এটা শুনে অনেক আনন্দিত।” আরেক যুবক আব্দুল হামিদ জানান, “আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, আমাদের দুঃখ-কষ্ট জানাবো।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নিরাপত্তার জন্য অনেক স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নিরাপত্তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।”

কক্সবাজারের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক সফর। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের পাশে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দাঁড়িয়েছে এবং বাংলাদেশ তাদের পাশে আছে।”

সরকারি তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। তবে, মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। এই সফরের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের অবস্থা এখনো সমাধান হওয়া বাকি।