০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন: নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 99

ছবি সংগৃহীত

 

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার স্বীকৃত। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা বা গাইডলাইন না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না। এই প্রশ্নের ওপর আজ হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ সোমবার একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল প্রদান করেন। রুলে আদালত জানতে চেয়েছে, কেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন না করাকে সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে, এর ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০ জানুয়ারি এই বিষয়ে রিট করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান।

ইশরাত হাসান আদালতে জানান, ‘‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ক্ষমতা ইতোমধ্যে বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে, বিশেষত হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্তরা। তবে ক্ষমা প্রদর্শন কোন ভিত্তিতে এবং কীভাবে করা হয়, তা নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাদৃষ্টে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অপব্যবহারও লক্ষ্য করা গেছে।’’ তিনি আরও জানান, ক্ষমা প্রদর্শনের এ অনিয়মে সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে, যা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যবহারে স্পষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা দেখায়।

এদিকে, আদালত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন। জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সুষম নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন: নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার স্বীকৃত। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা বা গাইডলাইন না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না। এই প্রশ্নের ওপর আজ হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ সোমবার একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল প্রদান করেন। রুলে আদালত জানতে চেয়েছে, কেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন না করাকে সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে, এর ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০ জানুয়ারি এই বিষয়ে রিট করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান।

ইশরাত হাসান আদালতে জানান, ‘‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ক্ষমতা ইতোমধ্যে বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে, বিশেষত হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্তরা। তবে ক্ষমা প্রদর্শন কোন ভিত্তিতে এবং কীভাবে করা হয়, তা নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাদৃষ্টে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অপব্যবহারও লক্ষ্য করা গেছে।’’ তিনি আরও জানান, ক্ষমা প্রদর্শনের এ অনিয়মে সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে, যা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যবহারে স্পষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা দেখায়।

এদিকে, আদালত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন। জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সুষম নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হয়।