১০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন: নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 78

ছবি সংগৃহীত

 

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার স্বীকৃত। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা বা গাইডলাইন না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না। এই প্রশ্নের ওপর আজ হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ সোমবার একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল প্রদান করেন। রুলে আদালত জানতে চেয়েছে, কেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন না করাকে সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে, এর ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০ জানুয়ারি এই বিষয়ে রিট করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান।

ইশরাত হাসান আদালতে জানান, ‘‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ক্ষমতা ইতোমধ্যে বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে, বিশেষত হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্তরা। তবে ক্ষমা প্রদর্শন কোন ভিত্তিতে এবং কীভাবে করা হয়, তা নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাদৃষ্টে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অপব্যবহারও লক্ষ্য করা গেছে।’’ তিনি আরও জানান, ক্ষমা প্রদর্শনের এ অনিয়মে সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে, যা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যবহারে স্পষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা দেখায়।

এদিকে, আদালত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন। জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সুষম নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন: নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার স্বীকৃত। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা বা গাইডলাইন না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না। এই প্রশ্নের ওপর আজ হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ সোমবার একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল প্রদান করেন। রুলে আদালত জানতে চেয়েছে, কেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন না করাকে সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে, এর ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০ জানুয়ারি এই বিষয়ে রিট করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান।

ইশরাত হাসান আদালতে জানান, ‘‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ক্ষমতা ইতোমধ্যে বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে, বিশেষত হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্তরা। তবে ক্ষমা প্রদর্শন কোন ভিত্তিতে এবং কীভাবে করা হয়, তা নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাদৃষ্টে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অপব্যবহারও লক্ষ্য করা গেছে।’’ তিনি আরও জানান, ক্ষমা প্রদর্শনের এ অনিয়মে সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে, যা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যবহারে স্পষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা দেখায়।

এদিকে, আদালত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন। জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সুষম নীতিমালা তৈরি করা সম্ভব হয়।