পাসপোর্ট করতে আর লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের ভিত্তিতে এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন, যা দ্রুত কার্যকর হতে যাচ্ছে।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছে তাঁর প্রেস উইং। খুব শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পরিপত্র জারি করবে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে দীর্ঘসূত্রতা এবং অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইয়ের ফলে আবেদনকারীদের ভোগান্তির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিল। সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুতে ১২ কর্মদিবস এবং এক্সপ্রেস পাসপোর্টের জন্য তিন কর্মদিবস সময় নির্ধারিত থাকলেও, পুলিশ ভেরিফিকেশন বিলম্বিত হলে আবেদনকারীদের দেরি ও হয়রানির শিকার হতে হতো। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে পাসপোর্ট পেতে আর এই জটিলতা থাকবে না।
নতুন নীতিমালার মূল দিকগুলো
১. নতুন পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
২. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অনলাইনে যাচাইকৃত জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
৩. পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান পাসপোর্টের সঙ্গে মৌলিক তথ্যের পরিবর্তন হলে, সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।
৪. জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন ডেটাবেজের সঙ্গে তথ্য যাচাই হলে তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী যথাযথ তদন্ত হিসেবে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে এবং এরপর থেকেই এটি কার্যকর হবে।
এই পরিবর্তনের ফলে পাসপোর্ট ইস্যুতে দীর্ঘসূত্রতা কমবে, জনভোগান্তি লাঘব হবে এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে। নাগরিক অধিকারের দিক থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বিশেষ করে প্রবাসী ও সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য বড় ধরনের স্বস্তি নিয়ে আসবে।