ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে বিএসএফ’র মারধর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন আশানুরূপ উন্নতি হয়নি আইনশৃঙ্খলার : রিজভী জাতিসংঘ মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর ভাবে কাজ করতে চায় : ফরিদা আখতার হাতিয়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত আওয়ামীলীগের চৌদ্দগোষ্ঠীরও ক্ষমতা হবে না আমাদের কেনার : তাজুল ইসলাম মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে সম্মেলনে,যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে সোমবার দলগুলো হাতে পাবে : আলী রীয়াজ নোয়াখালীর এক পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

‎পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে যাচ্ছে। শনিবার (২৬ জুলাই) এক আহত ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে অন্তত ২০ টি বাড়িঘরে ভঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহলের জোরদার করা হয়েছে। তবুও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকাটিতে। সম্ভাবনা রয়েছে পুনরায় সংঘাতের।

‎এসব ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এতথ্য জানানো হয়।

‎আদেশে বলা হয়েছে, বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের অধীনস্থ তারাপুর গ্রামে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র সহ মারামারি, অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র প্রদর্শনী সহ দাঙ্গা হাঙ্গামা ঘটছে। এছাড়া পুনরায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে বেড়া থানার ওসির মারফতে জানা যায়। এমতাবস্থায় ওই এলাকায় ২৭ জুলাই ২০২৫ এর সকাল ১০ টা থেকে ২৮ জুলাই ২০২৫ এর সকাল ১০ টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এসময় সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোঁটা বহন ও প্রদর্শন, যেকোনো ধরণের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ ও মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

‎কয়েক বছর আগে বেড়া উপজেলায় পুরোনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় আরেকটি পক্ষ।

এ নিয়ে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ।এসময় হাঁসুয়া, ট্যাটা ও লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের প্রায় ২০০-২৫০ লোকের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সবশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) হাদিস নামের একজনের মৃত্যুর খবরে ওই এলাকার ২০ টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি

আপডেট সময় ০৪:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

‎পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে যাচ্ছে। শনিবার (২৬ জুলাই) এক আহত ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে অন্তত ২০ টি বাড়িঘরে ভঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহলের জোরদার করা হয়েছে। তবুও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকাটিতে। সম্ভাবনা রয়েছে পুনরায় সংঘাতের।

‎এসব ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এতথ্য জানানো হয়।

‎আদেশে বলা হয়েছে, বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের অধীনস্থ তারাপুর গ্রামে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র সহ মারামারি, অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র প্রদর্শনী সহ দাঙ্গা হাঙ্গামা ঘটছে। এছাড়া পুনরায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে বেড়া থানার ওসির মারফতে জানা যায়। এমতাবস্থায় ওই এলাকায় ২৭ জুলাই ২০২৫ এর সকাল ১০ টা থেকে ২৮ জুলাই ২০২৫ এর সকাল ১০ টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এসময় সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোঁটা বহন ও প্রদর্শন, যেকোনো ধরণের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ ও মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

‎কয়েক বছর আগে বেড়া উপজেলায় পুরোনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় আরেকটি পক্ষ।

এ নিয়ে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ।এসময় হাঁসুয়া, ট্যাটা ও লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের প্রায় ২০০-২৫০ লোকের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সবশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) হাদিস নামের একজনের মৃত্যুর খবরে ওই এলাকার ২০ টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।