ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কচুরিপানার নিচে শিশুর মরদেহ জয়পুরহাটে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক নয়, এটি ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের ফল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সোহাগ বিগত সরকারের সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগ্নে পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা চালাতেন। ৫ আগস্টের পর সেই ব্যবসায় শেয়ার নিতে চেয়েছিল তারই পরিচিত কয়েকজন। এ নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যা থেকে সংঘবদ্ধ মব গঠন করে তাকে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পটুয়াখালী থেকে রেজওয়ান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার থানায় এসে মামলা করতে আগ্রহ দেখান। কিছুক্ষণ পর তার সৎ ভাই রনিও থানায় আসেন। তারা দুজন মিলে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার তৈরি করেন। পরে নিহতের আপন বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় এসে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন একজনকে যুক্ত করে মোট ১৯ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেন। সেই এজাহারের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু করা হয়, যার নম্বর-৭।

তিনি বলেন, কোনো ঘটনা সম্পর্কে এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। তদন্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ৯ জুলাই সন্ধ্যায় ঘটনার সময় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে চকবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে তিনি দেখেন, অভিযুক্তরা ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ এমন স্লোগানে মব গঠন করছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামে দুজনকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে সোহাগকে হত্যা করা হয়। পরদিন তার বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি

আপডেট সময় ০৪:৪২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক নয়, এটি ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের ফল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সোহাগ বিগত সরকারের সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগ্নে পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা চালাতেন। ৫ আগস্টের পর সেই ব্যবসায় শেয়ার নিতে চেয়েছিল তারই পরিচিত কয়েকজন। এ নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যা থেকে সংঘবদ্ধ মব গঠন করে তাকে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পটুয়াখালী থেকে রেজওয়ান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার থানায় এসে মামলা করতে আগ্রহ দেখান। কিছুক্ষণ পর তার সৎ ভাই রনিও থানায় আসেন। তারা দুজন মিলে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার তৈরি করেন। পরে নিহতের আপন বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় এসে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন একজনকে যুক্ত করে মোট ১৯ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেন। সেই এজাহারের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু করা হয়, যার নম্বর-৭।

তিনি বলেন, কোনো ঘটনা সম্পর্কে এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। তদন্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ৯ জুলাই সন্ধ্যায় ঘটনার সময় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে চকবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে তিনি দেখেন, অভিযুক্তরা ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ এমন স্লোগানে মব গঠন করছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামে দুজনকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে সোহাগকে হত্যা করা হয়। পরদিন তার বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।