ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কচুরিপানার নিচে শিশুর মরদেহ জয়পুরহাটে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি

চুয়াডাঙ্গায় জমি বিরোধ নিয়ে পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

চুয়াডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দুটি আলোচিত হত্যা মামলায় তিনজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী (৩৭), যিনি বর্তমানে জেহালা ইউনিয়নের ক্লিনিক পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন; একই মামলার অপর আসামি আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা (২৭), চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে। অপর মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে জমির উদ্দিন (৪৮)।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে একদল দুর্বৃত্ত আলমডাঙ্গা উপজেলার কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা কামালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ১১ মে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়া মামলার অপর পাঁচজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে জীবননগরে পূর্বশত্রুতার জেরে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবলু রহমানকে হত্যা করা হয়। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে উপপরিদর্শক সৈকত পাড়ে ৩০ সেপ্টেম্বর একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে জমির উদ্দিনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত জমির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু জানান, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এই রায় সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গায় জমি বিরোধ নিয়ে পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দুটি আলোচিত হত্যা মামলায় তিনজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী (৩৭), যিনি বর্তমানে জেহালা ইউনিয়নের ক্লিনিক পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন; একই মামলার অপর আসামি আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা (২৭), চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে। অপর মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে জমির উদ্দিন (৪৮)।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে একদল দুর্বৃত্ত আলমডাঙ্গা উপজেলার কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা কামালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ১১ মে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়া মামলার অপর পাঁচজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে জীবননগরে পূর্বশত্রুতার জেরে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবলু রহমানকে হত্যা করা হয়। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে উপপরিদর্শক সৈকত পাড়ে ৩০ সেপ্টেম্বর একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে জমির উদ্দিনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত জমির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু জানান, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এই রায় সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।