ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কচুরিপানার নিচে শিশুর মরদেহ জয়পুরহাটে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, ফাঁস দুর্নীতির চিত্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রায় পাঁচ হাজার শতাংশ জমি, গাজী টায়ার কারখানা এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক স্থাপনা।

সিআইডি জানায়, জোরপূর্বক জমি দখল, কমিশন গ্রহণ, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, হুন্ডি এবং ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসের মতো সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে তিনি এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পদ জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সিআইডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজীর রূপগঞ্জের খাদুন এলাকায় ৬৯টি দলিলে মোট জমির পরিমাণ ৪ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যার দলিল মূল্য ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া গাজী টায়ার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অবকাঠামো ও স্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সম্পত্তি মূলত ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গাজীর নামে কেনা হয়। এর আগে গত ৮ জুলাই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদ জব্দের আদেশ দেন। তদন্ত সংস্থাটি আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে সব তথ্য উপস্থাপন করে।

সূত্রমতে, এই জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে অনেকগুলো জমির মালিকানা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও সিআইডি অনুসন্ধানে তাদের মালিকানা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। জব্দকৃত সম্পদের প্রকৃত উৎস ও অর্থপাচার সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। মামলাটিকে কেন্দ্র করে দেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ ও বিপুল সম্পদ জব্দের ঘটনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন নতুন করে সামনে এসেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, ফাঁস দুর্নীতির চিত্র

আপডেট সময় ০৪:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রায় পাঁচ হাজার শতাংশ জমি, গাজী টায়ার কারখানা এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক স্থাপনা।

সিআইডি জানায়, জোরপূর্বক জমি দখল, কমিশন গ্রহণ, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, হুন্ডি এবং ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসের মতো সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে তিনি এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পদ জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সিআইডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজীর রূপগঞ্জের খাদুন এলাকায় ৬৯টি দলিলে মোট জমির পরিমাণ ৪ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যার দলিল মূল্য ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া গাজী টায়ার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অবকাঠামো ও স্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সম্পত্তি মূলত ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গাজীর নামে কেনা হয়। এর আগে গত ৮ জুলাই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদ জব্দের আদেশ দেন। তদন্ত সংস্থাটি আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে সব তথ্য উপস্থাপন করে।

সূত্রমতে, এই জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে অনেকগুলো জমির মালিকানা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও সিআইডি অনুসন্ধানে তাদের মালিকানা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। জব্দকৃত সম্পদের প্রকৃত উৎস ও অর্থপাচার সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। মামলাটিকে কেন্দ্র করে দেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ ও বিপুল সম্পদ জব্দের ঘটনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন নতুন করে সামনে এসেছে।