ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কচুরিপানার নিচে শিশুর মরদেহ জয়পুরহাটে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করা এবং তাতে বাধা দেওয়া একটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা সাংবিধানিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার বলেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য, পুলিশ সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর, শারীরিক আক্রমণসহ সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।

সরকারের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কেউই শাস্তির বাইরে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছে সরকার। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বিবৃতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়ে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপ সংঘর্ষকে আরো ভয়াবহ হতে দেয়নি। সেইসঙ্গে যারা এই হুমকি ও নির্যাতনের মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন, তাদের দৃঢ়তা ও সহনশীলতার প্রশংসা করেছে সরকার।

ঘটনার পর গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের কোনো নাগরিকের ওপর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এমন সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশের অধিকারের প্রতি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো মূল্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করা এবং তাতে বাধা দেওয়া একটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা সাংবিধানিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার সরাসরি লঙ্ঘন। সরকার বলেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য, পুলিশ সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর, শারীরিক আক্রমণসহ সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।

সরকারের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কেউই শাস্তির বাইরে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছে সরকার। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বিবৃতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়ে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপ সংঘর্ষকে আরো ভয়াবহ হতে দেয়নি। সেইসঙ্গে যারা এই হুমকি ও নির্যাতনের মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন, তাদের দৃঢ়তা ও সহনশীলতার প্রশংসা করেছে সরকার।

ঘটনার পর গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের কোনো নাগরিকের ওপর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এমন সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশের অধিকারের প্রতি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো মূল্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।