সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে: প্রেস উইং

- আপডেট সময় ১১:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
- / 12
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এখন পর্যন্ত এসব ঘটনার পেছনে কোনো সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এগুলো মূলত পৃথক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সহিংসতার ফল। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
এর আগে ১০ জুলাই বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্য জোটের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং বিগত ১১ মাসে ২ হাজার ৪৪২টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রেস উইং জানায়, নিহত ২৭ জনের ঘটনায় ২২টি হত্যা মামলা এবং ৫টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এসব খুনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আর্থিক লেনদেন, সন্ত্রাসী হামলা, ডাকাতি এবং পারিবারিক কলহ। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ১৫ জন আত্মসমর্পণ করেছেন এবং ১৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ২০টি ঘটনার কথা বলা হলেও, এর মধ্যে ১৬টি ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ২৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি তিনটি ঘটনায় কোনো অভিযোগ দাখিল হয়নি।
ঐক্য পরিষদের ভাষ্যমতে, ২০২৪ সালের ৪ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে ১ হাজার ৭৬৯টি হামলা ও নিপীড়নসহ মোট ২ হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।
প্রেস উইং জানায়, পুলিশ দেশের ৫৬ জেলায় সংঘটিত এসব ঘটনার মধ্যে ১ হাজার ৪৫৭টি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। পাশাপাশি ৬০টি ঘটনায় মন্দিরে চুরি, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জমি দখল ও উচ্ছেদের চেষ্টা সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ঐক্য পরিষদ ভবিষ্যতে আরও কিছু ঘটনার তথ্য উপস্থাপন করবে। পুলিশের চূড়ান্ত তালিকা পাওয়ার পর তা পুনরায় যাচাই করে প্রয়োজনীয় আপডেট জানানো হবে।