ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত লক্ষ্য হচ্ছে দেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠতে না পারে এ বিষয়ে সবাই একমত বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার ১১তম দিনের সূচনায় এ কথা বলেন তিনি। আলোচনায় বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা সবাই একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে। যাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ না হয়, নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এমন কাঠামো গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। এসব বিষয় নিয়ে আমরা একমত। আমরা চাই না, দেশে আর কখনো কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা ফিরে আসুক।”

আজকের আলোচনায় প্রধান বিচারপতির নিয়োগ পদ্ধতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। যদিও এসব ইস্যুতে আগেও আলোচনা হয়েছে, এখনো পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলে জানান তিনি।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, “জাতীয় সনদ তৈরির ক্ষেত্রে এই আলোচনা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। এখন প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক দিকগুলো নিয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি জানান, সব দলকে নিয়ে একটি সমন্বিত জাতীয় সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যেই এই প্রচেষ্টা, এবং জুলাই মাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এছাড়া যেসব বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আবার আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছানোর আশাও প্রকাশ করেন আলী রীয়াজ। তার ভাষায়, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ প্রণয়ন। এর বাইরে আমাদের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।”

তিনি বলেন, “যেসব বিষয়ে আলোচনা ইতিমধ্যে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার দিকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০২:২০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত লক্ষ্য হচ্ছে দেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠতে না পারে এ বিষয়ে সবাই একমত বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার ১১তম দিনের সূচনায় এ কথা বলেন তিনি। আলোচনায় বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা সবাই একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে। যাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ না হয়, নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এমন কাঠামো গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। এসব বিষয় নিয়ে আমরা একমত। আমরা চাই না, দেশে আর কখনো কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা ফিরে আসুক।”

আজকের আলোচনায় প্রধান বিচারপতির নিয়োগ পদ্ধতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। যদিও এসব ইস্যুতে আগেও আলোচনা হয়েছে, এখনো পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলে জানান তিনি।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, “জাতীয় সনদ তৈরির ক্ষেত্রে এই আলোচনা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। এখন প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক দিকগুলো নিয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি জানান, সব দলকে নিয়ে একটি সমন্বিত জাতীয় সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যেই এই প্রচেষ্টা, এবং জুলাই মাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এছাড়া যেসব বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আবার আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছানোর আশাও প্রকাশ করেন আলী রীয়াজ। তার ভাষায়, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ প্রণয়ন। এর বাইরে আমাদের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।”

তিনি বলেন, “যেসব বিষয়ে আলোচনা ইতিমধ্যে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার দিকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”