ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩ যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির তিন দফা দাবিতে উত্তাল রুয়েট নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

পটুয়াখালীতে ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

 

পটুয়াখালীর টেংরাখালীতে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের এক কোটি ৫৫ লাখ পিস অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ।

তিনি জানান, ভোরের দিকে কোস্টগার্ড স্টেশন পটুয়াখালী ও মৎস্য অধিদপ্তরের একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় টেংরাখালী পুরাতন বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় সন্দেহভাজন একটি ট্রাক তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

জানা যায়, ট্রাকটি কুয়াকাটা থেকে বাগেরহাটের দিকে যাচ্ছিল। তবে অবৈধ রেণুর প্রকৃত মালিকের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আটক ট্রাকচালককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পরে জব্দকৃত চিংড়ির রেণুগুলো উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লোহালিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশের উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ ঘণ্টা টহল অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে এসব অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।’ তিনি জানান, এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও জোরালোভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবৈধ চিংড়ির রেণু পাচার ও পরিবহন রোধে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। অবৈধ রেণু আহরণ ও বিপণন সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

অভিযানে কোস্টগার্ড সদস্যদের পাশাপাশি মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অভিযানকালে স্থানীয়দের সহযোগিতাও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

পটুয়াখালীতে ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ

আপডেট সময় ০৩:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

পটুয়াখালীর টেংরাখালীতে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের এক কোটি ৫৫ লাখ পিস অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ।

তিনি জানান, ভোরের দিকে কোস্টগার্ড স্টেশন পটুয়াখালী ও মৎস্য অধিদপ্তরের একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় টেংরাখালী পুরাতন বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় সন্দেহভাজন একটি ট্রাক তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

জানা যায়, ট্রাকটি কুয়াকাটা থেকে বাগেরহাটের দিকে যাচ্ছিল। তবে অবৈধ রেণুর প্রকৃত মালিকের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আটক ট্রাকচালককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পরে জব্দকৃত চিংড়ির রেণুগুলো উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে লোহালিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশের উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ ঘণ্টা টহল অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে এসব অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।’ তিনি জানান, এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও জোরালোভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবৈধ চিংড়ির রেণু পাচার ও পরিবহন রোধে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। অবৈধ রেণু আহরণ ও বিপণন সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

অভিযানে কোস্টগার্ড সদস্যদের পাশাপাশি মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অভিযানকালে স্থানীয়দের সহযোগিতাও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।