ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্তে ৫ মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষার্থী নিহত জনসমর্থন থাকলে কেউ পালায় না: এটিএম আজাহারুল ইসলাম এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা: ২৪২ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাবনা সাতক্ষীরায় জুয়ার আসরে পুলিশের হানা, গ্রেপ্তার ৯

বিচার বিভাগের রূপান্তরে ‘সংস্কার রোডম্যাপ’—প্রধান বিচারপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “আমাদের সংস্কার রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং একটি দক্ষ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা।” তিনি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বার্ষিক ‘রুল অব ল’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে ভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিশ্বজুড়ে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকারের সংরক্ষণ এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশও এ প্রয়াসে পিছিয়ে নেই।”

তিনি জানান, ইউএনডিপি-সমর্থিত ট্রানজিশনাল জাস্টিস বা রূপান্তরকালীন ন্যায়বিচার সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি নিয়ে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তার মতবিনিময় হয়েছে। সে অভিজ্ঞতা তার বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে যে, যেকোনো স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণে বিচার বিভাগীয় সংস্কার অপরিহার্য ভিত্তি হওয়া উচিত।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “৪২ লাখের বেশি মামলার দীর্ঘসূত্রতা, বিচার বিভাগের ওপর জনগণের অবিশ্বাস, এবং রাজনীতিকীকরণের ক্ষতিকর প্রভাব আমাকে নিরুৎসাহিত করেনি। বরং, যারা ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল, তাদের চাহিদা পূরণ এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্যই আমি ‘সংস্কার রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই রোডম্যাপ শুধু কাগজে-কলমে নয়; এর বাস্তবায়নে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার চেষ্টা করছি। ডিজিটাল রূপান্তর, জনকেন্দ্রিক পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেখে ইউএনডিপি আমাদের সহযোগিতা করছে।”

বিচারপতি রেফাত আহমেদ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, এ রোডম্যাপ ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বচ্ছ, কার্যকর এবং গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদ: বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচার বিভাগের রূপান্তরে ‘সংস্কার রোডম্যাপ’—প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় ১০:০১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “আমাদের সংস্কার রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং একটি দক্ষ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা।” তিনি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বার্ষিক ‘রুল অব ল’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে ভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিশ্বজুড়ে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকারের সংরক্ষণ এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশও এ প্রয়াসে পিছিয়ে নেই।”

তিনি জানান, ইউএনডিপি-সমর্থিত ট্রানজিশনাল জাস্টিস বা রূপান্তরকালীন ন্যায়বিচার সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি নিয়ে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তার মতবিনিময় হয়েছে। সে অভিজ্ঞতা তার বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে যে, যেকোনো স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণে বিচার বিভাগীয় সংস্কার অপরিহার্য ভিত্তি হওয়া উচিত।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “৪২ লাখের বেশি মামলার দীর্ঘসূত্রতা, বিচার বিভাগের ওপর জনগণের অবিশ্বাস, এবং রাজনীতিকীকরণের ক্ষতিকর প্রভাব আমাকে নিরুৎসাহিত করেনি। বরং, যারা ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল, তাদের চাহিদা পূরণ এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্যই আমি ‘সংস্কার রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই রোডম্যাপ শুধু কাগজে-কলমে নয়; এর বাস্তবায়নে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার চেষ্টা করছি। ডিজিটাল রূপান্তর, জনকেন্দ্রিক পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেখে ইউএনডিপি আমাদের সহযোগিতা করছে।”

বিচারপতি রেফাত আহমেদ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, এ রোডম্যাপ ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বচ্ছ, কার্যকর এবং গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদ: বাসস