ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব

- আপডেট সময় ০৮:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / 0
ভূমি সেবায় হয়রানিমুক্ত ও জনবান্ধব ব্যবস্থা গড়তে প্রযুক্তিনির্ভর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয় এমন মন্তব্য করেছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।
তিনি জানান, “নামজারি, উন্নয়ন কর, পর্চা ও নকশা সংগ্রহসহ সব সেবা শতভাগ অনলাইন এবং ক্যাশলেস করা হয়েছে। নাগরিকরা এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে সপ্তাহের সাতদিন, ২৪ ঘণ্টাই কল সেন্টার ও নাগরিক ভূমি সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা পাচ্ছেন।”
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভূমি ভবনে আয়োজিত ‘ভূমি মেলা ২০২৫’-এর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য, “নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি।”
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য মেলায় ১৯টি স্টলে ভূমি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা প্রদান করা হবে। সচিব বলেন, “অনলাইন আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বহুগুণে বেড়েছে। প্রতি মাসে অনলাইনে প্রায় পাঁচ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে। ৫১৬টি উপজেলা, ৩৪৬৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হয়েছে।”
জুলাই ২০২৪ থেকে মে ২০২৫ পর্যন্ত সময়কালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর থেকে আদায় হয়েছে প্রায় ২৯০ কোটি টাকা এবং ই-পর্চা থেকে এসেছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। ডাক বিভাগের মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছে প্রায় ১২ লাখ খতিয়ান ও ১১ হাজার মৌজা ম্যাপ।
বর্তমানে অনলাইনে রয়েছে ৬ কোটি ৫০ লাখ খতিয়ান এবং ডিজিটাল হোল্ডিং ডাটা রয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি। সচিব বলেন, “দৈনিক ১০-১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সম্ভব, যদি সার্ভার সচল থাকে।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে ড্রোন ব্যবহার করে নির্ভুল জরিপ সম্পন্ন করা হবে। এনআইডি দিয়েই জমির তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ১৩৩০টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং ১৫০টি সমন্বিত উপজেলা ভূমি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনায় আধুনিক পদ্ধতি চালু করে সরকারি সম্পত্তি সুরক্ষার কথাও জানান তিনি। একইসাথে কৃষি ও বনভূমি রক্ষায় নীতিমালা প্রণয়ন চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।