ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত: প্রধান বিচারপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “আমরা এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যেখানে সবাই বলবে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ শুধু রায় দেয়নি, বরং প্রকৃত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে।”

বুধবার (১৪ মে) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে লিগ্যাল এইডের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি কাজী জিনাত হক। উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং কমিটির সদস্য সচিব সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম জামিউল হক ফয়সাল।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা যে পথে এগোচ্ছি তা সহজ নয়, কিন্তু বিচার বিভাগের সাড়া দেখে আমি অনুপ্রাণিত। রাজধানীসহ দেশের সাতটি বিভাগে ঘুরে আমি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন পেশার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন এই দায়িত্ব নিজেদের বলে মনে করেন।”

তিনি জানান, বিচার ব্যবস্থার এই সংস্কারে উন্নয়ন সহযোগীরাও পাশে আছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) গত ডিসেম্বর থেকে সরাসরি সম্পৃক্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, সুইডেনসহ অন্যান্য সহযোগীরা প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি নৈতিক সমর্থনও দিয়ে যাচ্ছে। তাদের আস্থাই এই ভিশনকে এগিয়ে নিচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য সেই মানুষ, যারা দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে ন্যায়বিচারের আশায় চেয়ে থাকেন। তাই সরকারের কর্মকর্তা, আইনজীবী, বিচারক, গণমাধ্যম ও উন্নয়ন সহযোগীদের আহ্বান জানাই মানুষকেন্দ্রিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে সবাই যেন নতুন প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন।”

বিচার ব্যবস্থায় অভিগম্যতা ও তথ্যপ্রবাহ সহজ করতে দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে সহায়তা হেল্পলাইন চালুর ঘোষণা দেন তিনি। জানান, ৬৪ জেলা ও ৮ মহানগরে এই হেল্পলাইন চালু করা হবে, যাতে বিচারপ্রার্থীরা তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানাতে পারেন।

এ উদ্যোগকে তিনি বিচার বিভাগের অঙ্গীকারের আরেকটি মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত: প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় ১০:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “আমরা এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যেখানে সবাই বলবে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ শুধু রায় দেয়নি, বরং প্রকৃত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে।”

বুধবার (১৪ মে) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে লিগ্যাল এইডের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি কাজী জিনাত হক। উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং কমিটির সদস্য সচিব সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম জামিউল হক ফয়সাল।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা যে পথে এগোচ্ছি তা সহজ নয়, কিন্তু বিচার বিভাগের সাড়া দেখে আমি অনুপ্রাণিত। রাজধানীসহ দেশের সাতটি বিভাগে ঘুরে আমি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন পেশার সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন এই দায়িত্ব নিজেদের বলে মনে করেন।”

তিনি জানান, বিচার ব্যবস্থার এই সংস্কারে উন্নয়ন সহযোগীরাও পাশে আছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) গত ডিসেম্বর থেকে সরাসরি সম্পৃক্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, সুইডেনসহ অন্যান্য সহযোগীরা প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি নৈতিক সমর্থনও দিয়ে যাচ্ছে। তাদের আস্থাই এই ভিশনকে এগিয়ে নিচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য সেই মানুষ, যারা দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে ন্যায়বিচারের আশায় চেয়ে থাকেন। তাই সরকারের কর্মকর্তা, আইনজীবী, বিচারক, গণমাধ্যম ও উন্নয়ন সহযোগীদের আহ্বান জানাই মানুষকেন্দ্রিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে সবাই যেন নতুন প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন।”

বিচার ব্যবস্থায় অভিগম্যতা ও তথ্যপ্রবাহ সহজ করতে দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে সহায়তা হেল্পলাইন চালুর ঘোষণা দেন তিনি। জানান, ৬৪ জেলা ও ৮ মহানগরে এই হেল্পলাইন চালু করা হবে, যাতে বিচারপ্রার্থীরা তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানাতে পারেন।

এ উদ্যোগকে তিনি বিচার বিভাগের অঙ্গীকারের আরেকটি মাইলফলক বলে মন্তব্য করেন।