০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি

শান্তিরক্ষা সম্মেলনে যোগ দিতে বার্লিন গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিতে আজ সোমবার জার্মানির বার্লিনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে মো. তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান, বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন। একইসঙ্গে তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টিও তুলে ধরবেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সফর করেন জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া। সফরকালে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রী পর্যায়ের শান্তিরক্ষা সম্মেলন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম প্রধান সেনা প্রেরণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা ও মানবিক সহানুভূতির জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উচ্চ প্রশংসা লাভ করেছে। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে আন্তর্জাতিকভাবে শান্তিরক্ষায় দেশের দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, প্রতি দুই বছর পর পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক এই মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে মত বিনিময় করে। একই সঙ্গে সম্মেলনটি সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সহযোগিতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বার্লিনে অনুষ্ঠেয় এবারের সম্মেলন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও টেকসই করার লক্ষ্যে নতুন ধারণা, কৌশল ও অংশীদারত্বের ওপর জোর দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তিরক্ষা সম্মেলনে যোগ দিতে বার্লিন গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিতে আজ সোমবার জার্মানির বার্লিনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে মো. তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান, বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন। একইসঙ্গে তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টিও তুলে ধরবেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সফর করেন জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া। সফরকালে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রী পর্যায়ের শান্তিরক্ষা সম্মেলন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম প্রধান সেনা প্রেরণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা ও মানবিক সহানুভূতির জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উচ্চ প্রশংসা লাভ করেছে। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে আন্তর্জাতিকভাবে শান্তিরক্ষায় দেশের দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, প্রতি দুই বছর পর পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক এই মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে মত বিনিময় করে। একই সঙ্গে সম্মেলনটি সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সহযোগিতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বার্লিনে অনুষ্ঠেয় এবারের সম্মেলন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও টেকসই করার লক্ষ্যে নতুন ধারণা, কৌশল ও অংশীদারত্বের ওপর জোর দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।