ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

বুদ্ধ পূর্ণিমায় তারেক রহমানের শুভেচ্ছা: “সহাবস্থান ও সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মৈত্রীর অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে আসছে। এ দেশের বর্ণ, ধর্ম, সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠীগুলোকে একত্র করে রেখেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন। সহাবস্থান, সহনশীলতা ও আন্তরিকতা আমাদের গর্বিত ঐতিহ্য।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক অভিন্ন জাতি বাংলাদেশি। সব ধর্মের মর্যাদা রক্ষা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ভিত্তিতেই আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলেছি এবং ভবিষ্যতেও সে চেষ্টার অব্যাহত থাকবে।”

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এই তিনটি ঘটনাই ঘটেছিল গৌতম বুদ্ধের জীবনে। তাই এ দিনটি বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে বিশ্বব্যাপী সম্মানের সঙ্গে পালিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “অহমবোধকে জয় করে গৌতম বুদ্ধ যে অসীম জ্ঞান লাভ করেছিলেন, তা আজও মানবজাতিকে সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। শোক-দুঃখ ও সংকটের অন্ধকারে তিনি আলো দেখিয়েছেন মানবতার, সাম্যের ও অহিংসার দর্শনে।”

তিনি আরও বলেন, “গৌতম বুদ্ধ জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানুষের মধ্যে কর্ম ও যোগ্যতাকে মর্যাদার মাপকাঠি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সমান অধিকারের কথা বলেছিলেন। তাঁর শিক্ষা ও সমবেদনার দৃষ্টান্ত মানবিক মূল্যবোধের চিরন্তন বাতিঘর হয়ে থাকবে।”

তারেক রহমান বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শান্তি, কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করেন এবং বুদ্ধ পূর্ণিমার সকল আনুষ্ঠানিকতার সফলতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উদযাপন প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, “এই পবিত্র দিনে আসুন, আমরা সবাই মিলিত হই বুদ্ধের মানবিক বাণীর আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে।”

এই বিবৃতির মধ্য দিয়ে তারেক রহমান শান্তি, সাম্য ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন জাতির প্রতিটি স্তরে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বুদ্ধ পূর্ণিমায় তারেক রহমানের শুভেচ্ছা: “সহাবস্থান ও সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য”

আপডেট সময় ১১:৩৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মৈত্রীর অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে আসছে। এ দেশের বর্ণ, ধর্ম, সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠীগুলোকে একত্র করে রেখেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন। সহাবস্থান, সহনশীলতা ও আন্তরিকতা আমাদের গর্বিত ঐতিহ্য।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক অভিন্ন জাতি বাংলাদেশি। সব ধর্মের মর্যাদা রক্ষা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ভিত্তিতেই আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলেছি এবং ভবিষ্যতেও সে চেষ্টার অব্যাহত থাকবে।”

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এই তিনটি ঘটনাই ঘটেছিল গৌতম বুদ্ধের জীবনে। তাই এ দিনটি বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে বিশ্বব্যাপী সম্মানের সঙ্গে পালিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “অহমবোধকে জয় করে গৌতম বুদ্ধ যে অসীম জ্ঞান লাভ করেছিলেন, তা আজও মানবজাতিকে সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। শোক-দুঃখ ও সংকটের অন্ধকারে তিনি আলো দেখিয়েছেন মানবতার, সাম্যের ও অহিংসার দর্শনে।”

তিনি আরও বলেন, “গৌতম বুদ্ধ জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানুষের মধ্যে কর্ম ও যোগ্যতাকে মর্যাদার মাপকাঠি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সমান অধিকারের কথা বলেছিলেন। তাঁর শিক্ষা ও সমবেদনার দৃষ্টান্ত মানবিক মূল্যবোধের চিরন্তন বাতিঘর হয়ে থাকবে।”

তারেক রহমান বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শান্তি, কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করেন এবং বুদ্ধ পূর্ণিমার সকল আনুষ্ঠানিকতার সফলতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উদযাপন প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, “এই পবিত্র দিনে আসুন, আমরা সবাই মিলিত হই বুদ্ধের মানবিক বাণীর আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে।”

এই বিবৃতির মধ্য দিয়ে তারেক রহমান শান্তি, সাম্য ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন জাতির প্রতিটি স্তরে।