ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আরব আমিরাতে শ্রমিক ভিসা পুনরায় চালুর আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার মিরাজের ব্যাটিং- বোলিং নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টাইগারদের দাপুটে জয়, সিরিজ শেষ সমতায় ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন বেলুচিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ১০ সন্ত্রাসী, উত্তপ্ত চোতির এলাকা ভারতের সম্ভাব্য সামরিক হামলার আশঙ্কা, পাল্টা হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের। কাশ্মীর হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাথে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র জুলাই গণহত্যা: আ.লীগের দৃশ্যমান বিচার দাবি জোনায়েদ সাকির ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত অসময়ে যমুনায় ভাঙন, দিশেহারা পাবনার নদীপাড়ের মানুষ

কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, ঘরে ফিরছেন জেলেরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও অবমুক্তকৃত পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য শুরু হয়েছে তিন মাসব্যাপী মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

প্রতিবছরের মতো এবারও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় হ্রদে মাছ ধরা, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। ফলে হ্রদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা হাজারো জেলে জাল ও নৌকা নিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)-এর মার্কেটিং অফিসার মো. আইয়ুব আফনান জানান, “চলতি বছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রায় ৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে, যা থেকে সরকার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এ বছর হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে।”

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকালে হ্রদে মাছ শিকার বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে স্থানীয় সব বরফ কল, যাতে অবৈধভাবে আহরণকৃত মাছ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ না হয়।

জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২৬ হাজার জেলে পরিবার। নিষেধাজ্ঞার সময় এসব পরিবারকে নানা ধরনের কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।

স্থানীয় জেলে শাহ আলম বলেন, “তিন মাস মাছ ধরতে না পারলে পরিবার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। তবে আমরা জানি, মাছের প্রজনন ও ভবিষ্যতের জন্য এটা দরকার।”

এদিকে জেলেদের সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, দেশের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট কৃত্রিম জলাশয় কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও অবমুক্ত পোনার নিরাপদ বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে প্রতিবছরই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। দীর্ঘদিনের এই উদ্যোগ হ্রদের মাছের উৎপাদন ও প্রজাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, ঘরে ফিরছেন জেলেরা

আপডেট সময় ০৩:২৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও অবমুক্তকৃত পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য শুরু হয়েছে তিন মাসব্যাপী মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

প্রতিবছরের মতো এবারও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় হ্রদে মাছ ধরা, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। ফলে হ্রদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা হাজারো জেলে জাল ও নৌকা নিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)-এর মার্কেটিং অফিসার মো. আইয়ুব আফনান জানান, “চলতি বছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রায় ৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে, যা থেকে সরকার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এ বছর হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে।”

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকালে হ্রদে মাছ শিকার বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে স্থানীয় সব বরফ কল, যাতে অবৈধভাবে আহরণকৃত মাছ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ না হয়।

জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২৬ হাজার জেলে পরিবার। নিষেধাজ্ঞার সময় এসব পরিবারকে নানা ধরনের কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।

স্থানীয় জেলে শাহ আলম বলেন, “তিন মাস মাছ ধরতে না পারলে পরিবার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। তবে আমরা জানি, মাছের প্রজনন ও ভবিষ্যতের জন্য এটা দরকার।”

এদিকে জেলেদের সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, দেশের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট কৃত্রিম জলাশয় কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও অবমুক্ত পোনার নিরাপদ বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে প্রতিবছরই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। দীর্ঘদিনের এই উদ্যোগ হ্রদের মাছের উৎপাদন ও প্রজাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।