ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রেফারিকে বরফ ছুড়ে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার রুডিগার সুইডেনের উপসালায় বন্দুক হামলায় নিহত ৩, আতঙ্ক সর্বত্র চীনে রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২২ জনের মৃত্যু শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে বিএসইসির জরুরি উদ্যোগ মার্কিন গাড়ি শিল্পে স্বস্তি আনতে শুল্ক হ্রাসের পথে ট্রাম্প প্রশাসন সাংবাদিক ছাঁটাই নিয়ে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও স্ত্রী খালাস গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, একদিনেই নিহত ৫১ রাজধানীতে টানা তিন দিন ছুটিতে তিন দলের বড় সমাবেশ দেম্বেলে–দোন্নারুম্মা জাদুতে আর্সেনালকে হারিয়ে ফাইনালের পথে পিএসজি

রাজধানীতে টানা তিন দিন ছুটিতে তিন দলের বড় সমাবেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় পৃথকভাবে তিনটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বড় পরিসরে জনসমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এতে শহরে জনসমাগম এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

প্রথম দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে দুপুর ২টায় শ্রমিক সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই সমাবেশের আয়োজন করছে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন। উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকার বাইরেও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

পরের দিন, শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৩টায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমাবেশ করবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে। দলটির দাবি, আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

ছুটির শেষ দিন, শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি গত এক মাস ধরে এই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রধান দাবি, সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৩০০টি মামলা প্রত্যাহার। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ‘হত্যার বিচার’ দাবি করা হবে। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদ।

টানা ছুটির এই তিন দিনে তিনটি বড় সমাবেশ ঘিরে ঢাকার সড়ক ও জনজীবনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীতে টানা তিন দিন ছুটিতে তিন দলের বড় সমাবেশ

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় পৃথকভাবে তিনটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বড় পরিসরে জনসমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এতে শহরে জনসমাগম এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

প্রথম দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে দুপুর ২টায় শ্রমিক সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই সমাবেশের আয়োজন করছে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন। উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকার বাইরেও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

পরের দিন, শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৩টায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমাবেশ করবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে। দলটির দাবি, আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

ছুটির শেষ দিন, শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি গত এক মাস ধরে এই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রধান দাবি, সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৩০০টি মামলা প্রত্যাহার। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ‘হত্যার বিচার’ দাবি করা হবে। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদ।

টানা ছুটির এই তিন দিনে তিনটি বড় সমাবেশ ঘিরে ঢাকার সড়ক ও জনজীবনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।