ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জরুরি সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

 

মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ, সীমান্তে গুলিবর্ষণ এবং সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অস্থিরতা যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হতে পারে। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এখনই একটি সমন্বিত ও কার্যকর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

আজ রবিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাতের সময় ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই সফর রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের আশাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০টি মিশনে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এ সময় তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্ত করতে আমি বিশেষভাবে উৎসাহিত করছি।’ একইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের প্রতিটি পর্যায়ে নারীদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন চান।

জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়া বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীদের ভূমিকা বাড়াতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দায়িত্বে নয়, বরং সকল স্তরে নারীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই তারা কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ‘পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমে’ পাঁচটি ইউনিটকে র‍্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে রেখেছে এবং অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তর এবং মিশন উভয় পর্যায়ে নেতৃত্বমূলক অবস্থানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির আহ্বান জানান। মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

জানানো হয়, আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জরুরি সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:৪৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ, সীমান্তে গুলিবর্ষণ এবং সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অস্থিরতা যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হতে পারে। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এখনই একটি সমন্বিত ও কার্যকর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

আজ রবিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাতের সময় ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই সফর রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের আশাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০টি মিশনে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এ সময় তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্ত করতে আমি বিশেষভাবে উৎসাহিত করছি।’ একইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের প্রতিটি পর্যায়ে নারীদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন চান।

জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়া বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীদের ভূমিকা বাড়াতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দায়িত্বে নয়, বরং সকল স্তরে নারীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই তারা কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ‘পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমে’ পাঁচটি ইউনিটকে র‍্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে রেখেছে এবং অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তর এবং মিশন উভয় পর্যায়ে নেতৃত্বমূলক অবস্থানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির আহ্বান জানান। মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

জানানো হয়, আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।