ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে সহায়তাকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলকে সশস্ত্র বাহিনীর সংবর্ধনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

মিয়ানমারে গত ২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে সংঘটিত বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ৫৫ সদস্যের একটি উদ্ধার ও চিকিৎসা দল দ্রুত মিয়ানমারে প্রেরণ করা হয়। একইসঙ্গে, তিনটি ধাপে পাঁচটি বিমান ও একটি নৌযানের মাধ্যমে ১৫১.৫ টন মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়, যার মধ্যে ছিল খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু, কম্বল, স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী ও পোশাক।

মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দলের দক্ষতা ও সক্ষমতা বিবেচনায় তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত তিনটি ভবনের গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী উদ্ধার করার দায়িত্ব অর্পণ করে। দলটি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে। একইসঙ্গে, নেপিডোর ৪৫টি ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবন, ক্লিনিক ও শপিং মলসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। নেপিডো সেন্ট্রাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে যৌথ উদ্ধার তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ দল একটি সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরি করে, যার ভিত্তিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে।

এছাড়াও, বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমটি মিয়ানমারে অবস্থানকালে ১৭টি জটিল অস্ত্রোপচারসহ মোট ৮৮৫ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে, যা স্থানীয় জনগণের মাঝে বাংলাদেশ সম্পর্কে গভীর কৃতজ্ঞতা ও আস্থার জন্ম দেয়।

সফল দায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ জাহাজে করে দলটি ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরে আসে। এ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, পিএসসি, পিএইচডি প্রত্যেক সদস্যকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

বাংলাদেশের এই মানবিক ও সহযোগিতামূলক উদ্যোগ শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই সুদৃঢ় করবে না, বরং এটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সহানুভূতিরও পরিচায়ক। ভবিষ্যতেও দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যেকোনো দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে—এমনটাই জাতীয় অঙ্গীকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে সহায়তাকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলকে সশস্ত্র বাহিনীর সংবর্ধনা

আপডেট সময় ০১:১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

মিয়ানমারে গত ২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে সংঘটিত বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ৫৫ সদস্যের একটি উদ্ধার ও চিকিৎসা দল দ্রুত মিয়ানমারে প্রেরণ করা হয়। একইসঙ্গে, তিনটি ধাপে পাঁচটি বিমান ও একটি নৌযানের মাধ্যমে ১৫১.৫ টন মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়, যার মধ্যে ছিল খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু, কম্বল, স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী ও পোশাক।

মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দলের দক্ষতা ও সক্ষমতা বিবেচনায় তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত তিনটি ভবনের গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী উদ্ধার করার দায়িত্ব অর্পণ করে। দলটি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে। একইসঙ্গে, নেপিডোর ৪৫টি ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবন, ক্লিনিক ও শপিং মলসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। নেপিডো সেন্ট্রাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে যৌথ উদ্ধার তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ দল একটি সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরি করে, যার ভিত্তিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে।

এছাড়াও, বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমটি মিয়ানমারে অবস্থানকালে ১৭টি জটিল অস্ত্রোপচারসহ মোট ৮৮৫ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে, যা স্থানীয় জনগণের মাঝে বাংলাদেশ সম্পর্কে গভীর কৃতজ্ঞতা ও আস্থার জন্ম দেয়।

সফল দায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ জাহাজে করে দলটি ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরে আসে। এ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, পিএসসি, পিএইচডি প্রত্যেক সদস্যকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

বাংলাদেশের এই মানবিক ও সহযোগিতামূলক উদ্যোগ শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই সুদৃঢ় করবে না, বরং এটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সহানুভূতিরও পরিচায়ক। ভবিষ্যতেও দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যেকোনো দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে—এমনটাই জাতীয় অঙ্গীকার।